চৌগাছায় নিরাপত্তা চেয়ে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় জিডি ইউপি মেম্বারের

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইমরান হোসাইন নামে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এক ইউপি সদস্য।
সোমবার বিকেলে ইউপি সদস্য বাবুল চৌগাছা থানায় তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এই জিডি করেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ওই গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
খন্দকার আসাদুল হক বাবুল নামের ওই ইউপি সদস্য উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়নের ২নং (মাজালি) ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। ইমরান হোসেন একই গ্রামের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে এবং ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ।
থানায় জিডি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্য খন্দকার আসাদুল হক বাবুল বলেন,‘মাজালি গ্রামের দবির হোসেনের স্ত্রী তানিয়া বেগম। যার জাতীয় পরিচয়পত্র নং ১৯৯১৪১১১১৮৬০০০১২২। গ্রাম পুলিশ ইমরান হোসেন তানিয়ার স্বামীর নামের স্থলে নিজেকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ভিজিডি কার্ডের তালিকাভুক্ত করেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি চাল বিতরনের সময় তিনি এই চাল উত্তোলন করেন। অথচ এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল দশটার দিকে মাজালি নির্মানাধীন মসজিদের সামনে আমাকে ইমরান হোসেন ও তার মা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মেরে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে। যে কোন সময় আমাকে খুন-জখম করতে পারে।’
তবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম পুলিশ ইমরান হোসেন মোবাইল ফোনে জানান আমার পারিবারিক বিভিন্ন ঝামেলার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মেম্বারের কাছে বিচার দিলেও তিনি আমার পক্ষে বিচার করেন নি। সে কারনে (ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম)। তিনি বলেন হুমকি ধামকি নয় কথাকাটাকাটি হয়েছে। তানিয়া খাতুনের স্বামীর জায়গায় নিজের নাম বসিয়ে ভিজিডি কার্ডের বিষয়ে তিনি বলেন তানিয়া আমার ভাবী। আপনার কাছে মিথ্যা বলবো না। তার কার্ড আর আমার কার্ড একসাথে দিয়ে তালিকা করেছিলাম। সেটাও আমি যে ওয়ার্ডের (৫নং) গ্রাম পুলিশ সেই ওয়ার্ডের মধ্যে। কথা ছিল চাল আমি নেব। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে গতকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) চাল দেয়ার সময় আমাদের পারিবারিক বিরোধ বেধে যায়। তখন মেম্বার আমাকে বলেন কোন চিন্তা করার দরকার নেই। আবার উনাকে (তানিয়া) বলেন তোমার নামে কার্ড হলে তুমি এ বিষয়ে উপজেলায় যাও। সে কারনে মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল।