Type to search

চৌগাছায় গামছায় হাত-পা বাঁধা ট্রাক চালক উদ্ধার

চৌগাছা

চৌগাছায় গামছায় হাত-পা বাঁধা ট্রাক চালক উদ্ধার

 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় রবিবার সকাল ৬টার দিকে স্কচ টেপ দিয়ে চোখ এবং গামছা দিয়ে হাত-পা বাধা অবস্থায় বাবলু মিয়া (৩৮) নামে এক ট্রাক চালককে উদ্ধার করেন ট্রাক থেকে বালু নামানো শ্রমিকরা। এরপর তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তির পর সকাল দশটার দিকে হাসপতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসছেন সংবাদ পেয়ে দ্রæত রিলিজ নিয়ে বাড়ি চলে যান তিনি।
হাসপাতালের ডা. নাহিদ সিরাজ বলেন রাউন্ডের সময় তিনি বাড়ি চলে যেতে চান। অবস্থা তত গুরুতর না হওয়ায় তাকে রিলিজ দেয়া হয়।
হাসপতালে গিয়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি বলেন তিনি কথা বলতে পারছেন না। সেসময় তার স্ত্রী এবং ভাইয়ের স্ত্রীও হাসপাতালে তার কাছে ছিলেন। সাংবাদিকরা বের হয়ে যাবার পরপরই চিকিৎসকের কাছ থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়ি চলে যান। পরে চৌগাছা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক হাসপাতালে গিয়ে আর তাকে খুঁজে পান নি।
বাবলুকে উদ্ধারকারী ট্রাক থেকে বালু নামানো শ্রমিক ওসমান গণি জানান, সকাল ৬টার দিকে বালু নামাতে শহরের কুঠিপাড়া মোড়ে গেলে রাস্তায় রাখা ট্রাকে তাকে পাচ্ছিলাম না। এসময় পাশেই তাঁর গোঙানী শুনি। কাছে গিয়ে দেখি চোখে স্কচ টেপ মারা, মুখে গামছার কাপড় গুজে দেয়া, হাত ও পা গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমরা কয়েকজন দ্রæত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি। তিনি জানান, তবে তার কোন কিছু খোয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন। পরে তার ভাই এসে তার দায়িত্ব নিলে আমরা কাজে চলে আসি।
চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক জানান, হাসপাতালে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোন অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চৌগাছা থানার একটি সূত্র জানায়, ট্রাক চালক বাবুলের ট্রাকে বাবুলের পাশের গ্রামের একটি ছেলে সহকারী হিসেবে কাজ করে। তাঁর পিতা প্রবাসে। গত ২৫ জুলাই বিকেল ৫টায় বাবুল মিয়া তাঁর সহকারীর মাকে (৩৭) গিয়ে বলেন তোমার ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে যশোর হাসপাতালে রয়েছে। একথা বলে সে একটি মাইক্রোবাসে করে ওই নারীকে নিয়ে নিজে চালিয়ে যশোর যান। সেখানে কোথাও ছেলেকে খুঁজে না পেলে ওই নারীকে বাবুল বলে তাহলে ঝিনাইদ হাসপাতালে রয়েছে। যশোর থেকে ওই মাইক্রোবাসে করে সহকারীর মাকে নিয়ে ঝিনাইদহে যায় সে। সেখানেও ছেলেকে না পাওয়ার এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে ওই নারী বলেন আমার ক্ষুধা লেগেছে। সে সময় তাকে পাওরুটির সাথে ঠান্ডা পনীয় খাওয়ায়। পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাওয়ায়ে তাকে কোন এক বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। সকালে ওই নারী ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে কাউকে দেখতে না পেয়ে এক পর্যায়ে নিজেই চৌগাছা থানায় মৌখিক অভিযোগ দেন। তবে ওই নারী সুনির্দিষ্টভাবে ঘটনাস্থলের নাম বলতে না পারায় সেসময় মামলা না করেই ফিরে যান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন পরে সে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে টাকার বিনিময়ে মিমাংশা হয়েছে।