শ্যামল দত্ত চৌগাছাযশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের চৌগাছা পৌর শহরে আবারোএক রাতে ছয়টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত চোরেরা পরিকল্পিতভাবে দোকানগুলোর ভেন্টিলেটর কেটে ও শাটার ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়। সকালে বাজারে এসে ব্যবসায়ীরা চুরির ঘটনাটি টের পান।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার রাতের মতো দোকানগুলো যথারীতি বন্ধ করে সবাই বাসায় চলে যান। বুধবার সকালে বাজারে এসে দেখা যায় মহেশপুর রোড এলাকায় আলম স্টোর, মুজিদ স্টোর ও হাজরাখানা স্টোরের ভেন্টিলেটর কেটে ভেতরে ঢুকে প্রায় এক লাখ টাকার মতো নগদ অর্থ ও বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়েছে।
এ ছাড়া বধুয়া বস্ত্রালয়, নাহিদ ক্লোথ স্টোর ও শামীম কালেকশন এই তিন দোকানের শাটার ভেঙে মালামাল চুরি করে চোরেরা। এর মধ্যে শামীম কালেকশন থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে ছয়টি দোকান থেকে প্রায় তিন লাখ টাকার নগদ ও মালামাল চুরি হয়েছে।
আলাম স্টোরের মালিক আলম কুমার জানান, তার দোকান থেকে ৪০–৫০ হাজার টাকা ও প্রচুর সংখ্যক সিগারেট নিয়ে গেছে চোরেরা। হাজরাখানা স্টোরের মালিকও প্রায় একই পরিমাণ ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইতমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজে ভোরে একটি দোকানে চুরির দৃশ্য ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা আরও জানান, গত কয়েক মাস ধরে বাজারে ধারাবাহিকভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কোনো অপরাধী এখনো ধরা না পড়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই সঙ্গে নাইট গার্ড ও টহল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। সম্প্রতি রবিউল স্টোর, মুজিদ স্টোর ও লিটন স্টোরেও একই ধরনের চুরি হয়।
চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান হাসিব বলেন, “বিষয়টি আমরা থানায় জানিয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্তের চেষ্টা চলছে। গার্ড সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে এই সুযোগটাই কাজে লাগায় চোরেরা। বিষয়টি নিয়ে আমরা সভায় বসে সকাল পর্যন্ত গার্ড রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।”
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.