চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গায় শহরের ফেরিঘাটরোডে টাস্কফোর্সের অভিযানে বিপুল পরিমানের নিম্নমানের নকল ও ভেজাল শিশু খাদ্য, যৌন উত্তেজক সিরাপ জব্দ করা হয়েছে। গতকাল ফেরিঘাট রোডের মেসার্স জরি স্টোরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ওই প্রতিষ্ঠানটির ৬টি গোডউন সিলগালা এবং ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা মার্কেটিং অফিস এবং ছাত্র জনতার সমন্বয়ে যৌথ বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযোগ পাওয়া যায়- ফেরিঘাট রোডের জনি স্টোরের মালিক জনি দীর্ঘ দিন ধরে ভেজাল নিম্নমানের, মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য ও যৌন উত্তেজক সিরাপ বিক্রি ও গুদামজাত করে আসছিলো। তিনি চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশের জেলায় এসব সকল পন্য সরবরাহ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ট্রান্সফোর্স অভিযান চালানো হয়। এসময় তার দোকানে ও গোডাউনে বিপুল পরিমান ভেজাল নিম্নমানের, মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য ও যৌন উত্তেজক সিরাপ পাওয়া যায়। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা ও দোকানসহ ৬ টি গোডাউন সিলগালা করা হয়। এসময় দোকান ও পরিবেশক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ করবে না অঙ্গিকার করে।
চুয়াডাঙ্গা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা নমুনা সংগ্রহকারী নাসের উদ্দীন বলেন, এর আগেও গত বছর জনি স্টোরকে একই অভিযোগে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এসময় নিম্নমানের চাটনির নমুনা পরীক্ষা করলে শিশুর শরীরিক মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকার কথা জানান।
চুয়াডাঙ্গা টাস্কফোর্স অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, এর আগেও মেসার্স জনি স্টোরকে সতর্ক করার পরেও নিম্নমানের প্রচুর পরিমাণ ভেজাল শিশু খাদ্য বিক্রির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ৬টি গোডাউন সিলগালা এবং নগদ ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মার্কেটিং অফিসার রাশেদুজ্জামান, সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার জুলফিকার আলী, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের নমুনা সংগ্রহকারী কর্মকর্তা নাসের উদ্দিন এবং ছাত্র প্রতিনিধি মুসফিকুর রহমান, ফাহিম আহমেদ প্রমুখ।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.