চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু,চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে সামিউল নামের ৫ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলার কেশবপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে সাথে ট্রাক্টর চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। ট্রাক্টর চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। নিহত সামিউল (০৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের কেশবরপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আইনাল হকের ছেলে। সামিউল কেশবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্র। চার ভাই বোনের মধ্যে সামিউল ছিল সবার ছোট। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘাতক ট্রাক্টরটি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। পালিয়ে যাওয়া চালককে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
গ্রামবাসী জানায়, কেশবপুর গ্রামের প্রভাবশালী মনজিল, শহিদুল ইসলাম বুড়ো ও সেলিম নামের তিন মাটিখোর দীর্ঘদিন ধরে মাটির ব্যবসা করে আসছে। তারা মানুষকে টাকার লোভ দেখিয়ে চাষের জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে। বেশ কিছুদিন ধরে কেশবপুরের উজির আলী ও নাজির গং তাদের জমিতে পুকুর খনন করার জন্য মাটিখোরদের সাথে চুক্তিতে আসে। এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে তারা মাটি কেটে ট্রাক্টর বোঝাই করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। গ্রামের আব্দুস সালাম, চেঙ্গিস আলী, কুরবান, জয়নাল মাটি কিনে তাদের জমি ভরাট করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সামিউল তার বন্ধুদের সাথে এস্কেভেটর মেশিনে মাটি টাকা দেখতে যায়। এসময় দ্রুতগতির মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই সামিউল মারা যায়। এ ঘটনার পরপরই ট্রাক্টর চালক গাড়ি ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। শিশু সামিউলের পিতা আইনাল হক জানান, ওই মাটি ব্যবসায়ীদের জন্যই আমার ছেলে মারা গেছে। তিনি মাটি ব্যবসায়ীসহ ট্রাক্টর চালকের বিচারের দাবি করেন। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া জানান, উপজেলার কেশবপুর গ্রামে সামিউল নামের একটি শিশু ট্রাক্টরের চাপায় মারা গেছে। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। মরদেহের সুরতাহল রিপোর্ট করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও বলেন, ট্রাক্টর চালক ও অভিযুক্তদের আটক করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।