জি, এম ফারুক আলম, মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
পাট নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই মণিরামপুরের চাষিদের। চাহিদা মতো বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের এ ভোগান্তির কারণ। চাষিরা বর্তমানে জমি থেকে পাট কাটতেও পারছেন না পানির অভাবে। আবার কেউ কেউ পাট কেটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পাট পচানো নিয়ে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর মণিরামপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। এখানকার চাষিরা মূলত: শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে জমি থেকে পাট কেটে আমন ধান চাষ করে থাকেন। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবার তা সম্ভব হবে না এমন আশংকা চাষিদের।
দেবীদাসপুর গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম এ বছর ৪৪ শতক জমিতে পাট চাষ করে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন বলে দাবী করেছেন তিনি। তার দাবী মতে জমি থেকে পাট কাটা হয়েছে, কিন্তু পচন দেওয়ার জায়গা না পাওয়ায় রাস্তায় ফেলে রেখে তা নষ্ট হচ্ছে। একই কথা বললেন, আ¤্রঝুটা গ্রামের চাষি শহিদুল ইসলাম ও মকবুল হোসেন। আগরহাটি গ্রামের চাষি জালাল উদ্দিন বলেন, পাট চাষ করে এমন বিপদে পড়েছি মনে হচ্ছে আর কখনো পাট চাষ করতে যাবো না। কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বছরে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় খালে-বিলে কোথাও নেই পানি। পাট নিয়ে কোথাও পচানোর জায়গা মিলছে না। অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি ক্ষোভের সাথে জানান, মনে হচ্ছে ক্ষেতের পাট শুকিয়ে জ্বালানি তৈরি করি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, এ বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫ হাজার ৫’শ হেক্টর। কিন্তু চাষিরা আশানুরুপ পাট চাষ করতে পারলেও পাট নিয়ে যে অবস্থা চলছে তাতে এ মুহুর্তে চাষিদের রিমন পদ্ধতির বিকল্প নেই।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.