Type to search

চাঁদপুরের মতলবে ২ মাস ১০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

আইন কানুন

চাঁদপুরের মতলবে ২ মাস ১০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

চাঁদপুরের মতলবে ২ মাস ১০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন। স্ত্রীর সহায়তায় হত্যা সন্দেহ

মেহেদী হাসান শুভ চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাও উত্তর ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের দক্ষিণ হাজী বাড়িতে আদালতের নির্দেশে ৭০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেছে প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুরে মজিবুর রহমান (৪০) নামের ব্যাক্তির লাশ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করেছে। মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালতের নির্দেশক্রমে, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট, মুন্সিগঞ্জ সদর থানা ও মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশের উপস্থিত এ লাশ উত্তোলন কার্যক্রম শেষ হয়। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোনা গ্রামের খলিলুর রহমানর বড় ছেলে মো. মজিবুর রহমান রহমান মুন্সিগঞ্জের সিপাই পাড়া মদিনা প্লাজায় রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতেন। সে সুবাদে প্রায় ১০ বছর আগে মুন্সিগঞ্জের বল্লোল এলাকায় রিনা বেগম (৫০), নামে স্বামী পরিত্যক্ত নারীর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে স্ত্রী রিনা বেগম মজিবুর রহমানের পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে বাধ্য করান। কিন্তু ২২ এপ্রিল মজিবুর মৃত্যুর সংবাদ মুন্সিগঞ্জের এক ব্যাক্তি ফেন দিয়ে মজিবুরের পরিবারকে জানায়। গাড়ি করে লাশ পাঠিয়ে দিলে লাশের সাথে স্ত্রী কিংম্বা শশুর বাড়ির কেউ আসনি। এমনকি খোঁজখবরও নেননি। কিছু দিন পর মজিবুরের মোবাইলে থাকা ডকুমেন্ট, বন্ধুদের কথাবার্তা ও গোসল দেওয়া ব্যাক্তিদের কথা শুনে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে মজিবুরের পিতা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে পুত্রবধু রিনা বেগম, সিজলিং রেস্টুরেন্টের কর্মচারী শাওনসহ আরো অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামী করে মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্রধরে ২রা জুলাই মজিবুরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ঘোনা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে রোবেল জানান, আমি লাশের গোসল দিয়েছি, তখন লাশের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। তাছাড়া লাশের ঘাড় ও মাথা বাকানো ছিল। নিহতের ছোট ভাই গোলাম রাব্বাী বলেন,বিদুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে বলে জানায় স্ত্রী। যারা গোসল করাইছে তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নে দেখতে পেয়েছে। মজিবুরের ছোট বোন খাদিজা আক্তার বলেন, আমার ভাইকে ভাবী তার লোকজন নিয়া মেরে ফেলেছে। ওরা আমাদের খবর পর্যন্ত দেয়নি। রিনা বেগম একবার বলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে, একবার বলে হার্ট এটাক করে মারা গেছে আবার বলে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালত ও চাঁদপুরের জেলা ম্যাজিস্টেটের নির্দেশক্রমে মজিবুরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পুনরায় এখানে আবার দাফন করা হবে। এ বিষয়ে মামলার বাদী মজিবুরের পিতা খলিলুর রহমান জানান, আমার ছেলের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য রিনা বেগম, শাওন ও আরো কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই এবং ফাঁসি চাই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *