
- শাহী মসজিদের নীরব স্থানে জিনের চলাচলঃ
বাংলাদেশের যতগুলো জিনা মসজিদ আছে তাদের মধ্যে একটি শাহী মসজিদ । মুরুব্বিরা বলেন, শাহী মসজিদে বিভিন্ন শ্রেণীর জিনেরা অদৃশ্য অবস্থায় নামাজ পড়তে আসেন। তারা বিভিন্ন শ্রেণীর রূপ ধারণ করতে পারে বলে অনেকে দেখেছেন। শব্দ শুনেছেন। তবে জনশ্রুতি আছে যে, এ মসজিদে রাতে কেউই থাকতে বা ঘুমাততে সাহস পায় না। মসজিদ হতে পশ্চিম দিকে দেড় শত বা দুই শত গজ দুরে রয়েছে তিনটি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। পূর্ব দক্ষিণে রয়েছে নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদের স্থানটি খুব নীরব থাকে।
ফলে জিনের চলাচল বেশি থাকে। কৌতূহল নিয়ে দর্শনার্থীদের মসজিদের চারপাশ ঘুরে দেখতে দেখা যায়। তবে একা কেউ আসে না। সরেজমিনে দেখা যায় যে, মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি নূর আলী, মসজিদটিতে বর্তমানে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. জহিরুল ইসলাম এবং খতিব মো. তাহির উদ্দিন। তাঁদের একজন খতিব মো. তাহির উদ্দিন (৭৫) বলেন, “জিন আছে এটা সত্য, আমরাও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে অনুভব করেছি, এখানেও করছি। জিনদের মধ্যেও অনেক ভালো জিন আছেন, আলেম আছেন। তারাও দ্বীন শিক্ষা নেন, মসজিদে আসেন নামাজ পড়তে।” কোন ঘটনার বিষয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মসজিদে রমজান মাসে তারাবিহর নামাজ আদায় করার পর রাত ১১টায় জায়নামাজ তোলার সময়ে ছোট ছোট কালো সাপ দেখতে পান এবং কিছুক্ষণ পর সাপগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। তাছাড়া মসজিদের বাহিরে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ শোনা, সাদা ঘোড়া চলাচল এবং পথের মধ্যে অগণিত সাপ আনাগোনা দেখা গিয়েছিল। নবাব সিরাজের অপর স্ত্রী আলেয়া (হীরা বা মাধুবী) এবং তাঁর গর্ভে জন্ম নেওয়া পুত্র সন্তান গৌরীপুর রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা জমিদার যুগল কিশোর রায় চৌধুরী গৌরীপুর হতে বোকাইনগর পর্যন্ত একটি সড়ক তৈরী করেছিলেন এবং সড়কের দুইধারে দেবদারু বৃক্ষরোপণ করেছিলেন। জমিদার শৌরীন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘যুগল কিশোর বোকাইনগরে ১৭০৭ শকাব্দে (খ্রিস্টাব্দের ৭৮ বছর পরে অর্থাৎ ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে) রাজরাজেশ্বরী কালীমূর্তি ও দ্বাদশটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন। সে অনুপাতে প্রতিটি দেরদারু গাছের বয়স ২৪০ বছর। এখনও মসজিদের পশ্চিম রাস্তায় মঠের কাছে কয়েকটি দেবদারু গাছ নবাব সিরাজের পুত্র যুগল কিশোর রায় চৌধুরীর স্মৃতিচিহ্ন বহন করছে। জনশ্রুতি আছে যে, দেবদারু গাছে রাতে এবং দুপুরে জিনের আস্তানা ছিল। তাই গাছগুলো এখনও বেচেঁ আছে।
।প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত করার দাবীঃপ্রাচীন মসজিদগুলোর দিকে বেশি নজর দেয়া দরকার। মুসলিম স্থাপত্যের এ নিদর্শন সরকারের একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত এবং তত্ত্বাবধানে রাখার দাবী করছে সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় আসার পর মসজিদের সংস্কারকাজ খুব সহজ হবে। দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স এর ইলেক্টরগণ মনে করেন মুঘল কারুকার্য ও স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করে মসজিদটির বর্তমান ছাদ ভেঙ্গে পুনরায় তিনটি ছোট বড় গম্বুজ তৈরী করলে মসজিদের বাহ্যিক সৌন্দয্য ফিরে আসতে পারে। ফলে অল্পদিনের মধ্যেই এই মসজিদ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া থাকলেও শাহীন খাঁর প্রাচীনতম মসজিদের ভেতরটা বেশ ঠান্ডা থাকে। নামাজ আদায় করে বেশ প্রশান্তি পাওয়া যায়।
মসজিদের আয়তক্ষেত্রের ধরণ ও কারুকার্য দেখে ভারতের বিভিন্ন স্থানে মুঘল আমলের মসজিদের এই আদলে সাদৃশ্য বা প্রতিচ্ছবি থাকতে পারে। তাছাড়া বড় জামাতের জন্য মসজিদের সামনে একটি ঘর বা আলাদা মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে। মসজিদের ইমাম মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিক মসজিদ হওয়ায় এখানে বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বাইরে থেকে পর্যটক প্রায়ই আসে।
পরিশেষে
১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মসজিদের গম্বুজগুলো ভেঙ্গে পড়লে ধ্বংস হওয়া মসজিদটি গম্বুজগুলো পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। তাছাড়া এ এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোর আবেগও এই স্থাপনাগুলোর সাথে জড়িয়ে আছে। তাই প্রয়োজন সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের। সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত মসজিদগুলোর দিকে বেশি নজর দেয়া দরকার।
সরকারী সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে মসজিদটি সংস্কার হলে আরও চিত্তাকর্ষক হবে।
।প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত করার দাবীঃপ্রাচীন মসজিদগুলোর দিকে বেশি নজর দেয়া দরকার। মুসলিম স্থাপত্যের এ নিদর্শন সরকারের একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত এবং তত্ত্বাবধানে রাখার দাবী করছে সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় আসার পর মসজিদের সংস্কারকাজ খুব সহজ হবে। দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স এর ইলেক্টরগণ মনে করেন মুঘল কারুকার্য ও স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করে মসজিদটির বর্তমান ছাদ ভেঙ্গে পুনরায় তিনটি ছোট বড় গম্বুজ তৈরী করলে মসজিদের বাহ্যিক সৌন্দয্য ফিরে আসতে পারে। ফলে অল্পদিনের মধ্যেই এই মসজিদ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া থাকলেও শাহীন খাঁর প্রাচীনতম মসজিদের ভেতরটা বেশ ঠান্ডা থাকে। নামাজ আদায় করে বেশ প্রশান্তি পাওয়া যায়।
মসজিদের আয়তক্ষেত্রের ধরণ ও কারুকার্য দেখে ভারতের বিভিন্ন স্থানে মুঘল আমলের মসজিদের এই আদলে সাদৃশ্য বা প্রতিচ্ছবি থাকতে পারে। তাছাড়া বড় জামাতের জন্য মসজিদের সামনে একটি ঘর বা আলাদা মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে। মসজিদের ইমাম মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিক মসজিদ হওয়ায় এখানে বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বাইরে থেকে পর্যটক প্রায়ই আসে।
পরিশেষে
১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মসজিদের গম্বুজগুলো ভেঙ্গে পড়লে ধ্বংস হওয়া মসজিদটি গম্বুজগুলো পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। তাছাড়া এ এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোর আবেগও এই স্থাপনাগুলোর সাথে জড়িয়ে আছে। তাই প্রয়োজন সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের। সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত মসজিদগুলোর দিকে বেশি নজর দেয়া দরকার।
সরকারী সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে মসজিদটি সংস্কার হলে আরও চিত্তাকর্ষক হবে।
লেখক
মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার:
সাংবাদিক, গবেষক ও ইতিহাস সন্ধানী