সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনলাইন জুম প্রযুক্তিতে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন।ইসমাইল হোসেন বলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মানুষই ভোক্তা। সঠিক দাম ও পরিমাপে মানসম্মত পণ্য পাওয়া সবার অধিকার। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ প্রণয়ন করেছে। ব্যবসায়ীদের ভোক্তার অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। নিম্নমানের, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রী এবং পণ্যের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ঘষামাজা পরিহার করতে হবে। পণ্যের মোড়কের তথ্যের সঙ্গে পণ্যের মানের মিল থাকা আবশ্যক। মানুষ সচেতন হলে এ বিষয়ে প্রতারণার সুযোগ অনেকাংশে কমে যাবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বের প্রতিদিন সৃষ্ট মোট বর্জ্যের ১০ শতাংশই প্লাস্টিক বর্জ্য। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ১৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সাগরে পতিত হওয়ার ফলে ২০৫০ সালে সাগরে মাছের চেয়ে প্লাস্টিকের পরিমাণ বেশি হবে। বিশ্ব জুড়ে প্রতি মিনিটে প্রায় ৩৩ হাজার প্লাস্টিকের বোতল সাগরে গিয়ে পড়ছে। প্রতিকেজি প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনে দুই কেজি কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। আমাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্য পরিবেশে মিশে যেতে ২০ থেকে ৫০ বছর সময় লাগে।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর খুলনা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এনায়েত আলী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এম নাজমুল আজম ডেভিড।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলী, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবীর, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ভোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়, খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা ক্যাব যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ট্রাক-শো উদ্বোধন করা হয়।

সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম