Type to search

ক্ষুধার্ত পাষাণ 

সাহিত্য

ক্ষুধার্ত পাষাণ 

বিলাল মাহিনী
গত নিশিথে দাদীর স্মৃতিমাখা স্বর্নখচিত পিতলের থালাটা হারিয়েছিলো,
সকালে দূর ভাগাড়ে খুঁজে পাওয়া গেলো; কী বাস্তবতা! ভাগ্যিস থালাটা কুকুরে নিয়েছিলো, মানুষের হাতে পড়লে কি আর পাওয়া যেতো?
কুকুরের লোভ থাকলেও তা যৎসামান্য ; কিন্তু মানুষের!
ঢের অভাব, যার আছে যতো, তার অভাব ততো।
মানুষ যতোটা না শারীরিক বিমারে ভোগে,
তারচেয়ে বেশি ভোগে অর্থ-চিন্তা রোগে।
ক’জন পারে দু’ হাতে শূন্যতা নিয়ে নিজের বিভাজনের ভগ্নাংশ হয়ে পড়ে থাকতে? বুকের ভিতর অগনিত চর, সারিবদ্ধ লাশের স্তুপ নিয়ে নিঃসঙ্গ মুসাফির হতে?
অবিশ্বাসী রোদ, সন্ধিগ্ধ বাতাস, স্বৈরাচরী উত্তাপ শুষে নিছে পৃথিবীর  জলভরা মায়াবী মেঘ।
ঝড়ো হাওয়া বেশে এগিয়ে আসছে নিদারুণ হাহাকার, দুর্ভিক্ষ।
রাষ্ট্র সমাজ সবখানে একক আমিত্ব,
ন্যানো একাকিত্মে ভরছে মহল্লা।
রাজনীতি আর ধর্মের কুয়াশার নিবীড় আক্রমন চলছে,
ওদিকে দাঁত মেলে ধেয়ে আসছে বুর্জোয়া শীতের ভোর;
কলঙ্কের অভিজ্ঞতা বুকে নিয়ে মৃত চাঁদটা খসে পড়ার উপক্রম-
আম জনতার জানালায়।
কৃষ্ণকায় ধূসর রাতের মার্জিনে
কিছু বল্গাহীন অনুর্বর বুদ্ধিজীবীর অসাড়তা ক্রমে বিভাজন ঘনীভুত করছে আমার স্বদেশে!
নীতিহীন নৈতিকতার কালো বিষবাস্পে পুড়েছে একাডেমির শয্যা,
এখন আমজনতার ডানে-বামে পুলসিরাত!
অসহায় প্রজারা যেনো তুরূপের তাস।