Type to search

কেশবপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সেই দরিদ্র পরিবারটি খাদ্য সহায়তা পেল

যশোর

কেশবপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সেই দরিদ্র পরিবারটি খাদ্য সহায়তা পেল

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে।
 যশোরের কেশবপুর উপজেলার গোপসেনা গ্রামে
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৬ সদস্যের পরিবারটি অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের হস্তক্ষেপে খাদ্য  সহায়তা পেয়েছে।  ১৭ এপ্রিল সকালে ১৫ কেজি চাল, দু’ কেজি আলু, এক কেজি ডাল, দু’পিচ সাবান ও ৫শত টাকা সহায়তা হিসেবে শাহিনের বাড়ি পৌঁছায়ে দেয়া হয়। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৭ দিন পর খাদ্য সহায়তা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের প্রতি শাহিনসহ তার বয়স্ক বাবা, মা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে,  কেশবপুর শহর থেকে ১৫ কিঃ মিঃ দূরে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের গোপসেনা গ্রামে অভাব অনাটনের মধ্যে বসবাস করে অানচার ঢালীর ছেলে শাহিনুর রহমান ঢালী (৩০)। বাবা, মা, স্ত্রী, শিশু সন্তানসহ ৫ সদস্য নিয়ে তার সংসার। তার বাবা, মা বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায় সময় নানা অসুখ বিসুখে ভুগছেন । ফলে সংসারে অভাব অনাটন লেগেই থাকে। অভাবের তাড়নায় শাহিন গত ৬ এপ্রিল ঢাকায় যায় কাজের সন্ধানে। করোনা ভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতে ঢাকায় কাজ না মেলায় তিনি গত ৮ এপ্রিল নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার খবর পৌঁছে যায় প্রশাসনের কাছে। গত ১০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানাসহ অাইনশৃংখলা বাহিনী  উপস্থিত শাহিনীর বাড়িতে। বাড়ি ফিরে ঘুরাঘুরির করার অভিযোগে শাহিনকে দু’ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং শাহিনসহ পরিবারের ৫ সদস্যকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। অভাব অনাটনের মধ্যে দু’ হাজার টাকা জরিমানা দেয়া শাহিনের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘার মতো অবস্থা।  ফলে অভিযোগ থেকে বাচতে নানা চেষ্টা করে। কিন্তু কথায় আছে বিপদ যখন আসে চার দিক দিয়ে আসে। ফলে দরিদ্র শাহিনের কোন কথা আমলে আসেনি। তার কাকুতি, মিনতি, আবেদন নিবেদনে কোনো ফল না মেলায় শত কষ্ট বুকে চেপে দু’ হাজার টাকা পরিশোধ করেন শাহিন। অভাবে থাকালেও প্রশাসনেন পক্ষ থেকে ৬ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা শাহিনীর পরিবারকে কোন খাদ্য সহায়তা করা হয়নি। এ বিষয় নিয়ে গত ২/৩ ধরে ফেসবুক,  অনলাইনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়।