কেশবপুরে কর্মী বাগে রাখতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ব্যবহারের অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির হোসেনের

আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কেশবপুর :
যশোর ৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে নির্বাচনী কাজে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এইচ এম আমির হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন,
একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীর পক্ষে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা পবিত্র ধর্মগ্রন্থ (আল কোরআন ও গীতা) ছোঁয়ায়ে নেতাকর্মীদের কাজ করার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছেন।
ধর্মগ্রন্থ ছোঁয়ানোর বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ায় কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার সাধারণ মানুষের ভেতর এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আমির হোসেন বলেন,একটি দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের শপথ পড়িয়ে নির্বাচনের মাঠে নামানোর যে চেষ্টা তাতে প্রমাণিত হয় এখানকার নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে তার বিশ্বাস এবং দুরত্ব কতটা কমেছে।
এইচ এম আমির হোসেন আরও বলেন, নির্বাচনের সময় কেশবপুরে অচেনা লোকের আনাগোনা বেড়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা এবং অন্য প্রার্থীর কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অবস্থান করছে এসব অচেনা লোক।
খবর আছে বেশ কয়েকটি বাড়িও নাকি তাদের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। তাদের অসংলগ্ন চলা ফেরা এবং কথা-বার্তায় ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে সাধারণ ভোটাররা। যা অবাদ নির্বাচন এবং সুষ্ঠভাবে ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্র অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসাথে কেশবপুরের অতিশয় শান্তিপ্রিয় এবং নিরীহ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল ইসলাম খান, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দীন সরদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আলতাফ হোসেন বিশ্বাস।
এইচ এম আমির হোসেন কাঁচি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।