
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কর ফাঁকির পথ দেখিয়ে ‘লালে লাল’ শিরোনামে দৈনিক কল্যাণে সংবাদ প্রকাশের পর এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। নাম প্রকাশ না শর্তে কয়েকজন সার কায়লা ব্যবসায়ী জানান, আমরা এতো দিন জানতাম মোজাম্মেল হক কর অফিসের কোন এক কর্মকর্তা। এখন পত্রিকা পড়ে জানলাম সে ওই অফিসের একজন নিরাপত্তাকর্মী। স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজার জানান আমাদের কর দেওয়া হতো খুলনা অফিসে । সেখানকার একজন উকিল আমাদের কর ফাইল তৈরি করতেন। মোজাম্মেল হক আমার মালিককে ম্যানেজ করে সেখান থেকে ফাইল উঠিয়ে নওয়াপাড়া অফিসে নিয়ে এসেছেন।
এদিকে কর ফাঁকির খবর প্রকাশের পর কর বিষয়টি কমিশানের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। মোজাম্মেল হকের কর্মকান্ড তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠিত হয়েছে। তদন্ত টিমের প্রধান করা হয়েছে যশোরের উপকর কমিশনারের কার্যালয়ের যুগ্ম কর কমিশনার উৎপল কুমার বিশ^াস, ওই অফিসের সহকারি কমিশনার এস এম গ্উাসইনাজ এবং নওয়াপাড়া উপকর কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত সহকারি কর কমিশনার মির্জা রেবেকা খানম। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর মোজাম্মেল হক বৃহস্পতিবার অফিসে কাজ করেছেন। আজ রোববার তিনি ছুটিতে আছেন বলে তার অফিস থেকে জানানো হয়েছে।

