উষ্ণতা পেতে
বিলাল মাহিনী : হিংসা আছে এখানে বেশ, হতাশা অফুরান আলোর পথে বাধা হয় কুয়াশার চাদর, ভরা ভাদর তবুও হাত পেতে থাকি একটু আলো পাবার আশায়। দারুণ কষ্ট অযুত জ্বালা দিবারাত্রি বিরহে পুড়ায়, তীব্র শীতে বরফ ঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে ঘর। শীতল যখন কাঁপায় শরীর রক্ত থেমে যায়, একটু উষ্ণ পরশ পেতে, মনটা তখন চায়। খরার প্রকোপ উষ্ণ হাওয়া ঘাম ঝরায় যখন, পিপাসায় শুকোয় গলা ঠাণ্ডা জলের পরশ পেতে ব্যাকুল থাকে মনটা। ঠাণ্ডায় দাও তুমি শীতল জল গরমে উষ্ণতা বাঁচার তাগিদে ক্ষোভ জমে বুকে পিঠ ঠেকে যায় দেয়ালে প্রতিরোধ দ্রোহে রূপ নেয়, দ্রোহ আগুন জ্বালায় শীরায় শীরায় পাতায় পাতায়…। একটু উষ্ণতা চাই শীতে শীতল জল চাই গ্রীষ্মে সে চাওয়া পূরণে ব্যার্থ তুমি জলে ভাসিয়ে, রোদে পুড়িয়ে আনন্দ পাও তুমি। এমন বিকৃত আন্দন নিয়ে ক’দিন বাঁচে পাষাণ মানুষ? তোমার সময় শেষ! বঞ্চিতরা রক্ত দিয়ে কিনে নিবে অধিকার স্বাধীকার। শুন্য হবে তোমার দাপট, অদৃশ্য পোকায় কাটবে ভিনদেশী শক্তি সুতা, মাঘ জামানা শেষ হবে, বসন্ত আসবে বলে রং ছড়াবে নতুন পাতা, সুঘ্রাণ রবে সাথে অন্ধকারে হারাবে তুমি, ফিরবে না কোনো কালে।