ইসলাম ও মাজহাব
মোঃ মাসুম বল্লিাহ
ইসলাম একটি র্পূণাঙ্গ জীবন বধিান । আর এ র্পূণাঙ্গ জীবন বধিান যার উপরে অবর্তীণ হয় তনিি পৃথবিীর র্সবশ্রষ্ঠে মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । রাসুল্লাহ (সঃ) এর জীবনদশায় আমাদরে সকল প্রকার নর্দিশেনা প্রদান করছেনে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামরে মধ্য দযি়ইে আমাদরে দ্বীনকে পরপর্িূণ করে দযি়ছেনে। আবূ হুরাইরা র্বণতি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনে, “আমি তোমাদরে মাঝে দুটি জনিসি রখেে যাচ্ছি তোমরা যতদনি আঁকড়ে ধরবে ততদনি পথভ্রষ্ট হবে না। তা হল এক আল্লাহ কতিাব (কুরআন) ও দুই রাসূলরে সুন্নাহ (হাদসি)। মানুষ জাতরি হদিায়াতরে জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবত্রি কুরআনরে বাণী আমাদরে প্রযি় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামরে কাছে অবর্তীণ করতনে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদরেকে সে সর্ম্পকে নর্দিশেনা দতিনে। কুরআন অবর্তীণ শষে হলইে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম এর নবুয়তরে দায়ত্বি শষে হয় । নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জীবন দশায় আমাদরে ইসলামরে দাওয়াত দযি়ছেনে। তনিি দাওয়াত দযি়ছেনে এক ইসলামরে, এক আল্লাহর এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসালাম আল্লাহর আনুগত্য অনুসরণরে জন্য পথ বলে গযি়ছেনে। সখোনে ইসলামরে পথ ও রাসুলরে পথ একটা। আলাদা কোনো মত বা পথ তনিি সৃষ্টি করে যানন।ি কন্তিু আমরা দখেি র্বতমান সময়ে বভিন্নিমতরে সৃষ্টি হচ্ছ।ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামরে ওফাতরে পরে অনকে ব্যক্তর্বিগ তারা ইসলামী সৌর্ন্দয বৃদ্ধরি জন্য গবষেণা র্কমে লপ্তি হয়ছেনে। ঠকি তমেনি আমাদরে প্রসদ্ধি এই চার ইমাম ইসলামরে সৌর্ন্দয বৃদ্ধরি জন্য কাজ করছেনে। আমরা দখেি ইমামগণ কখনো তারা নজিস্ব মত বা পথ সৃষ্টি করনেন।ি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামরে দখোনো পথ এবং মতকে তারা অনুসরণ করে চলতনে। আর আমরা এসে সে রাসুল (সাঃ) এর পথকে অনুসরণ করতে গযি়ে ইমামদরে পথকে মত হসিবেে গ্রহণ করছে।ি এ র্পযন্ত ঠকি ছলি কন্তিু আমরা কউে কউে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর আনুগত্য প্রর্দশনরে ভত্তিি হসিবেে এই ইমামদরে অনুসরণ করতে গয়িে তাদরে মতকে একমাত্র পথ হসিবেে অবলম্বন করছে।ি যখন আমরা একটা নর্দিষ্টি ইমামরে অনুসারী তখন আমরা অন্য ইমামকে দূরে ছুঁড়ে ফলেে দযি়ছে।ি কনেনা আমরা মনে করছেি যে নজিরে পছন্দরে নর্দিষ্টি পন্থা সঠকি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যটো সৃষ্টি করে যাননি সইে কাজটি আমরা করছে।ি আমরা রাসুলকে অনুকরণ না করে আমরা ইমামকে অনুকরণ করতে গযি়ে ইসলাম থকেে দূরে সরে যাচ্ছ।ি
আমরা মুসলমানরা ইসলাম অনুসরণ করার ক্ষত্রেে চার ধরণরে পথ তরৈি করে এক অনুসাররি লোক অন্য অনুসাররি সহীহ তরকিার অবলম্বন করাটাকে হারাম ফতোয়া দলিাম। আাসলে যা রাসুল কখনো করনেন।ি আমরা যারা শুনে মুসলমান তারা পত্রৈকি সুত্রে পাওয়া মত ও পথকে জাহরি করতে বশেি ব্যস্ত। কন্তিু আমরা প্রতকিুলতার মধ্যে দাঁড়য়িে বলোল (রাঃ) মতো র্মমে ধারণ করা মুসলমান হলে এমন ভাবে ইসলামকে বচিার করতে পারতাম না। ধরুন আপনি হন্দিুর ঘরে জন্ম নলি,ে তাহলে কি আপনি ছোটবলো থকেে ইসলামরে গুনগান করবনে? নাকি হন্দিুর্ধমরে? আপনি নশ্চিয়ই বাপ দাদার র্ধমরে অনুসারণ রীতি মনেে চলবনে। কন্তিু কতজন মানুষ বুঝে পরর্বিতন হব।ে সংখ্যাটা কম। প্রচাররে ক্ষত্রেে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রসারে বরিাট ভুমকিা রাখ।ে
আমাদরে দশেরে বশেরিভাগ মানুষ এমনি মুসলমান তাই সহজে একজন অন্য জনরে মতকে খারজি করে দতিে পার।ে ধরুণ আপনি ঢাকা যাবনে, বাড়ি আপনার মাদারীপুর। এখন প্রশ্ন হল আপনি কোন পথে যাবনে? পথ দুট।ি এক পদ্মা সতেু পার হয়।ে দুই মাদারীপুর থকেে গোপালগঞ্জ, তারপার খুলনা, যশোর, মাগুরা রোডে দৌলতদয়িা ঘাট পার হয়ে সাভাররে পরে ঢাকা। নশ্চিয়ই দুই নং পথে যাওয়া আপনার জন্য বোকাম।ি তবু যাওয়া তো যাবে ঢাকা। এখন এখানে আপনি কি বলতে পারনে কোনটা সহীহ আর কোনটা গালাত। আপাতত দৃষ্টতিে মনে হতে পারে পথ এক নং. সহীহ দুই নং. গালাত। কন্তিু ভ্রমণ পপিাসু মানুষরে উদ্দশ্যে যদি হয় ষাটগম্বুজ পরর্দিশন, খুলনা ভ্রমন, মুজনিগর দখো ফরেতিে উঠা আর সাভারে আত্মীয় বাড়ি ভ্রমণ তবে দুই নং পথ তার জন্য সঠকি। আল্লাহ ও রাসুল কে মানার ক্ষত্রেে বশ্বিাস বড় সখোনে যুক্তি আপনাকে ইবলশিরে মতো অহংকারী করে তুলব।ে আল্লাহ অংকারীকে পছন্দ করনে না। কনেনা অহংকার একমাত্র আল্লাহর ভুষণ। আল্লাহকে পাওয়ার জন্য আপনি যে কোন পথে গলেে চলবে না বরং আল্লাহর্ নদিশেতি পথে চলতে হব।ে ইবলশি এতো বশেি ইবাদত করছেে য,ে তার সজিদাহসমূহ পাশাপাশি করলে জমীনরে এমন কোন স্থান পাওয়া যাবে না যখোনে তার সজিদাহ নইে। কন্তিু আল্লাহর হুকুমে একটা সজিদাহ করনেি বলে তার সকল ইবাদাত নষ্ট হয়ে গলে। সুতারং সজিদাহ করা বড় কথা নয় বরং আল্লাহর্ নদিশে পালন করে সজিদাহ করা বড় কথা। আর আল্লাহর আল্লাহর্ নদিশে পালনরে জন্য সাধারণ মানুষ মাজহাবরে উপরর্ নভিরশীল। কন্তিু সমস্যা হল এক জনকে মানতে গয়িে অন্য জনকে অস্বীকার করা নয়ি।ে ধরনে আপনি আওয়ামী লীগ করনে। সুতারং ১৫ আগস্ট আপনার জন্য শোক পালন করা বাঞ্ছনীয় আবার বএিনপি করলে জয়িাউর রহমান এর মৃতু র্বাষকিী। সাধারণত একদলরে লোক হয়ে অন্যদলরে অনুষ্ঠানে কউে যায় না, তাহলে দলরে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়। আচ্ছা দল বড় না দশে। আপনি মানুষ হলে দশে তার পরে দল। কন্তিু দলকানা হয়ে যদি জদিরে কারণে মুখে দশে আর কাজে দলরে জন্য করনে তবে আপনি ভন্ড। তাছাড়া দশেপ্রমেকি মাত্র যে কোন কছিুর এমন কি নজিরে জীবনরে আগে দশেরে র্স্বাথ দখেব।ে ১৯৭১ তার প্রমাণ একই প্রমাণ ২০২৪। আর যারা প্রকৃত দশেপ্রমেকি তারা ৭১ ও ২৪ দুটোকে স্বীকার করব।ে কনেনা ৭১ এ শখে সাহবে ও জয়িাউর রহমানরে অবদান প্রশংসনীয়। স্বাধীনতা পরর্বতীতওে জয়িাউর রহমান দশেরে কল্যাণে কাজ করছেনে। তাই দুইজনকে বাংলার ইতহিাস বীররে র্মযাদা দয়িছ।ে এখন আপনি যদি একটা দলরে প্রতি অনুরক্ত হয়ে আর একজনকে অস্বীকার করনে তবে তা আপনার দশেপ্রমেরে স্ববরিোধতিা কর।ে প্রকৃত দশেপ্রমেকি দুজনরে অবদানকে স্বীকার করব।ে আর উদ্দশ্যে দকিে তাকালে দখো যাবে দুই জন্য দশেরে কল্যাণে কাজ করে দশেকে সমৃদ্ধ করতে চয়েছেলিনে। এখানে কারো অবদান কম বশেি হতে পার,ে কছিুটা ভুলও হতে পার।ে তাই বলে একজনকে মানতে গয়িে অন্য জনকে নষিদ্ধি করা কতটুকু সমীচীন? ইসলামকে এভাবে বচিাররে সুযোগ নইে। তবু যারা দীন ইসলামকে মাজহাব দয়িে বচিার করনে আসুন আমরা দখোর চস্টো করি এক্ষত্রেে মাজহাবরে উৎপত্ত,ি কারণ, ইতহিাস ও তাদরে মতামত আলোচনা কর।ি
মাযহাব হল ইসলামী ফকিহ বা আইনশাস্ত্ররে অর্ন্তভুক্ত এক একটি চন্তিাগোষ্ঠী ও র্চচাকন্দ্রে। নবী মুহাম্মদ (স.)-এর ইসলাম প্রচাররে পর আনুমানকি প্রায় দডে়শত বছররে মধ্যে অনকে মাযহাবরে উৎপত্তি হয়। সাহাবাদরে মধ্যওে অনকেইে নজিস্ব মাযহাব প্রতষ্ঠিার জন্য কৃতত্বিরে অধকিারী হয়ে আছনে। অবশষেে সাম্প্রতকি শতকে মোট আটটি প্রধান মাযহাবকে বশ্বি মুসলমি সম্প্রদায় র্কতৃক র্সাবকিভাবে গড় হসিাব অনুযায়ী পালনযোগ্য হসিবেে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়ছে।ে মাযহাব শব্দটি বাংলায় মাজহাব, মজহাব, ইত্যাদি বানানওে প্রচলতি।
২০০৪ সালরে ৯ই নভম্বের র্জদানরে আম্মানে অনুষ্ঠতি আম্মান র্বাতা সম্মলেনে বশ্বিরে ৫০ টি দশেরে ২০০ জন মুসলমি আলমেরে সদ্ধিান্তরে ভত্তিতিে নম্নিোক্ত আটটি মাযহাবকে র্বতমান সময়রে জন্য পালনীয় হসিবেে অনুমোদন দযে়া হয়ছেলি। সগেুলো হলোঃ ১.হানাফী (সুন্ন)ি ২.মালকি(িসুন্ন)ি ৩.শাফযি়ি (সুন্ন)ি ৪.হাম্বলী (সুন্ন)ি ৫.জাহরিি (সুন্ন)ি ৬. জাফরি (ইসনা আশার-ি ইসমাইলি শযি়া) ৭.যায়দী (শযি়া) ৮.খারজে:ি ইবাদি (খারজে)ি
চারটি প্রাথমকি সুন্নি মাযহাব হচ্ছ-ে হানাফী, শাফঈি, মালকেী এবং হাম্বল।ি
হানাফীঃ মাযহাবটি ইমাম আবু হানফিার প্রতষ্ঠিা করছেলিনে। তার জন্ম ৬৯৯ খ্রস্টিাব্দ (৮০ হজির)ি ও মৃত্যু ৭৬৭ খ্রস্টিাব্দে (১৫০ হজিরি )। মাযহাবটি লভোন্ট, মধ্য এশযি়া, আফগানস্তিান, পাকস্তিান, ভারত, বাংলাদশে, বশেরিভাগ মশির, ইরাক, তুরস্ক, বালকান এবং রাশযি়ার বশেরিভাগ মুসলমি সম্প্রদায়রে মুসলমানরা র্চচা করে থাকনে। এই মাযহাবরে মধ্যে বরেলেভি ও দওেবন্দীদরে মত বপিরীত মুখী আন্দোলনও অর্ন্তভুক্ত।
মালকেীঃ মাযহাবটি প্রতষ্ঠিা করছেলিনে মালকি ইবনে আনাস। উত্তর আফ্রকিা, পশ্চমি আফ্রকিা, সংযুক্ত আরব আমরিাত, কুয়তে, সৌদি আরবরে কছিু অংশ এবং উচ্চ মশিররে মুসলমানরা এ মাযহাব এর অনুসারী। অতীত,ে ইসলামী শাসনরে অধীনে ইউরোপরে কছিু অংশ,ে বশিষেত ইসলামী স্পনে এবং সসিলিরি আমরিাত এর অনুসরণ করা হয়ছেলি।
শাফঈিঃ মাযহাবটি মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রসি আশ-শাফঈি প্রতষ্ঠিা করনে। সৌদি আরব, র্পূব নম্নি মশির, ইন্দোনশেযি়া, মালয়শেযি়া, র্জডান, প্যালস্টোইন, ফলিপিাইন, সঙ্গিাপুর, সোমালযি়া, থাইল্যান্ড, ইয়মেনে, র্কুদস্তিান এবং করোলার ম্যাপলিাস এবং ভারতরে কোঙ্কানি মুসলমানরা এই মাযহাবরে অনুসরণ করে থাক।ে এটি ব্রুনাই এবং মালয়শেযি়ার সরকারি মাযহাব হসিাবে গৃহীত।
হাম্বলীঃ মাযহাব প্রতষ্ঠিা লাভ করে আহমদ বনি হাম্বলরে হাত ধর।ে কাতাররে মুসলমানরা, সৌদি আরবরে বশেরিভাগ এবং সরিযি়া ও ইরাকরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এ মাজহাবরে অনুসারী।
আপনি কোন দলরে লােক, ইসলামরে অনুসার?ি নাকি আবু হানফিার অনুসার?ি নাকি মালকেী,শাফঈি, হাম্বলি বা অন্যান্য দলরে? প্রসদ্ধি চার আলমেরে দ্বীনরে প্রচাররে উদ্দশ্যে ছলি ইসলামরে সৌর্ন্দয আরো সহজতর করে মানুষরে সামনে উপস্থাপন করা। একই সাথে বভিন্নি প্রশ্নরে সমাধান। সম্মানতি এসকল ইমামগণ নজিদেরে ফতোয়া নয়িে কখনো অহমকিা দখোনন।ি বরং প্রত্যকে ইমামগন বলছেনে, আমার কোন ফতোয়া যদি আল্লাহ ও তার রসূল এর বরিুদ্ধে যায় তবে সে ফতোয়া ছুড়ে ফলেতে বলছেনে। চার ইমামরে কাজ ছলি দ্বীনকে আরো সুস্পষ্ট করে তুলে ধরা। কন্তিু আমাদরে মতো হুজুগে মানুষ তাদরে পথকে দ্বীন ভাবতে শুরু করলাম। প্রত্যকেে ইসলামরে সবেক নাভবেে আমরা তার অননুসরণ করে নজিরে পছন্দরে ইমামকে শ্রষ্ঠে আর অন্যদরে পথ অবলম্বন ভুল প্রচার করতে শুরু করলাম। ইহুদীরা ৭১ দলে আর নাসারা ৭২ দলে বভিক্ত হয়ছে।ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলছেনে, আমার উম্মত ৭৩ দলে বভিক্ত হব।ে (তরিমিযিী, ইবনে মাজাহ) একটি ব্যতীত সবই জাহান্নামে যাব।ে এখানে উম্মত বলতে শুধু মুসলমানদরে বুঝানো হয়ছে।ে
মাজহাবরে উৎপত্তি চার খলফিার মৃত্যুর পর।ে রাসুল বঁেচে থাকতে সকল সমস্যার সমাধান দতিনে। কুরআনরে সুস্পষ্ট বাণী, “আজ আমি তোমাদরে জন্য তোমাদরে দ্বীনকে পরপর্িূণ করলাম এবং তোমাদরে উপর আমার নয়োমত সর্ম্পূণ করলাম এবং তোমাদরে জন্য ইসলামকে দ্বীন হসিাবে পছন্দ করলাম (সূরা আল মায়দো:৩)। এ কথার পরে নতুন করে ইসলামরে নামে কছিু ঢুকানো অবান্তর। কন্তিু রাসুল ও খলফিাদরে মৃত্যুর পরে সাধারণ মানুষরে দ্বীন ইসলামরে অজ্ঞতার কারণে ইসলামকে সহীহ ও সুন্দরভাবে উপস্থাপনরে জন্য সমাজে প্রচলতি বভিন্নি পন্থা থকেে গবষেণার ভত্তিতিে সঠকি পন্থা নর্ধিারণে চার ইমামরে গুরুত্ব অপরসিীম। তারা ইসলামরে বাণীকে মানুষরে কাছে পৌঁছে দতিে এমন মহান র্কমে নয়িোজতি হন। ইমাম আবু হানফিা বলছেনে আমার যদি কোন ফতোয়া আল্লাহ ও রাসুল এর বরিুদ্ধে যায় তবে তা দয়োলে ছুড়ে মারো। অন্য ইমামগন একই মত অনুসরণ করছেনে। তাদরে উদ্দশ্যে শুধু ইসলামরে চুলচরো বশ্লিষেণ করে বভিন্নি পথ বলে দওেয়া। তাদরেকে অনুসরণ করানো না। ইসলামকে অনুসরণ করাতে তাদরে সৃষ্ট পন্থা নয়িে আমরা মাথামোটা মানুষ তাদরে অনুসরণ করতে শুরু করলাম। এ যনে কলসি রখেে পানি আনতে যাওয়ার মতো।
আমাদরে দশেে জাকরি নায়কে সর্ম্পকে শুরুতে তুমুল বরিোধতিা ছলি। কন্তিু কালরে পরক্রিমায় হাতে গোনা কছিু আত্ম অহমকিারী ছাড়া দ্বীনরে জন্য তার খদেমতকে স্বীকার করনে। তার ভাষ্য মত,ে ইসলামকে অনুসরণ করতে হবে আল্লাহ ও রাসুলরে জন্য কোন ইমামরে জন্য না। কন্তিু তাদরে মতামতকে শ্রদ্ধা করে তনিি সঠকি পন্থা গ্রহণ করতে বলছেনে। সখোনে একজনরে অনুসারী বলে তার গবষেণা লব্ধ হাদসি সমূহকে তুলনামুলক কম গ্রহণ যোগ্য হাদসিরে বদলে অন্য ইমামরে বশেি গ্রহণ যোগ্য মতকে গ্রহণ করার কথা বলনে। কনেনা আমাদরে উদ্দশ্যে ইসলাম কোন মাজহাব না। জাকরি নায়কেে যারা পছন্দ করনে না তারা আসনে আমাদরে দশেরে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, আজহারী মাদানী কি বলে তা শুনে আস।ি আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যাররে মত,ে মাজহাব মানতে গয়িে নজিরে ইমামসহ ভন্নিমতকে মনেে নতিে বলনে। শায়খ মতউির রহমান মাদানী বলনে, চার ইমাম ইসলামরে বড় খাদমে কন্তিু তাদরে কাছে ওহি আসনে।ি তারা ভুলরেে র্উদ্ধে না। ভুল যদি না হবে তাহলে এক ইসলামে চারটি মত। সখোনে একটি সঠকি হলে বাকি তনিটি ইজতহোদে ভুল বলা যাবে না আবার একশ ভাগ সঠকি বলা যাবে না। তাদরে শ্রদ্ধা করতেে হব,ে কন্তিু তাদরেকে দাঁড় করে দয়িে হে ইমাম আপনাকে ছাড়া আর কাহকে মানবো না এটা আপনার গুমরাহ।ি আল্লাহ বলনে, “তবে তুমি কি তাকে লক্ষ করছে যে তার প্রবৃত্তকিে আপন ইলাহ বানয়িে নয়িছে?ে তার কাছে জ্ঞান থাকা সত্ত্বওে আল্লাহ্ তাকে পথভ্রষ্ট করছেনে (সূরা জাসয়িা-২৩)।” আল্লামা মামুনুল হকরে মত,ে ইজতহোদ করে পালন করতে না পারলে প্রতষ্ঠিতি চার মাজহাবরে কোন এক জনকে মনেে ইবাদাত করতে হব।ে হানাফি মাজহাব ছাড়া অন্য মাজহাব মানা যাবে না এমন নয়, তবে জন সমাজে আমলগুলো যে ভাবে প্রচলতি ভন্নি কোন ভাবে মানতে গলেে মানুষরে মাঝে দ্বধিা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় এই জন্য যে সমাজে যে সুন্নার আমল প্রচলতি সইে সমাজে নতুন কোন আমল করার মাধ্যমে মানুষকে পরেশোনতিে না ফলোর পক্ষে মত প্রদান করনে। উল্লখ্যে তনিি সহীহ হাদসি বানার ক্ষত্রেে একাধকি মাজহাব মানাকে ভুল বলনেন।ি ড. মজিানুর রহমান আজহারী বলনে, সরাসরি কুরআন সুন্নাহর উদ্দশ্যে অনকেরে জন্য বুঝা সহজ হবে না। এই জন্য প্রয়োজন মাজহাব। আমরা মাজহাবকে দ্বীন মনে করবো না। মুজতাহদি হসিাবে ওনাদরে ভুল থাকাটা অসম্ভব কছিু নয়। প্রতটিি মাজহাবে এমন কছিু মতামত রয়ছেে যা নয়িে প্রশ্ন তুলবার সুযোগ রয়ছে।ে দললিরে ভত্তিতিে কোন আলমে ভন্নি মত পোশন করলে তাকে বাতলি বা গুমরাহি বলা যাবে না। কনেনা আল্লাহ্ বলনে: তোমাদরে প্রতি তোমাদরে রবরে পক্ষ হতে যা নাযলি করা হয়ছে,ে তা অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য অভভিাবকরে অনুসরণ করো না (সূরা : আল আ'রাফ-৩)।
বশ্বিখ্যাত মুহাদ্দসিগন মাযহাব অনুসরণ করতনে। ইমাম বুখারী র. নজিইে মুজতাহদি ছলিনে। তথাপি তনিি শাফয়েী মাযহাবরে অনুসারী বলে সূত্রে পাওয়া যায়। (সুত্রঃ নবাব ছদ্দিকি হাসান খান লখিতি আবজাদুল উলুম পৃষ্ঠা নং ৮১০, আলহত্তিা পৃষ্ঠা নং ২৮৩ শাহ ওয়ালউিল্লাহ র. লখিতি আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৬৭ আল্লামা তাজ উদ্দীন সুবকী রহঃ লখিতি ত্ববকাতুশ শাফয়েী পৃষ্ঠা নং ২/২)। ইমাম মুসলমি র. শাফয়েী মাযহাবরে অনুসারী। (সুত্রঃ ছদ্দিকি হাঃ খান লখিতি আল-হত্তিা পৃষ্ঠা নং ২২৮)। ইমাম তরিমজিী র. নজিে মুজাহদি ছলিনে। তবে হানাফী ও হাম্বলী মাজহাবরে প্রতি আকৃষ্ট ছলিনে। (সুত্রঃ শা ওয়ালউিল্লাহ রহঃ লখিতি আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৭৯)। ইমাম নাসাঈ র. শাফয়েী মাযহাবরে অনুসারী ছলিনে। (সুত্রঃ নঃ ছঃি হাঃ লখিতি আল-হত্তিা পৃষ্ঠা নং ২৯৩)। ইমাম আবু দাউদ র. শাফয়েী। (সুত্রঃ আল-হত্তিা পৃষ্ঠা নং ২২৮। ইমাম ইবনে মাজাহ র. শাফয়েী মাযহাবরে অনুসারী। (সুত্রঃ ফয়জুল বারী ১/৫৮)
একটি মাযহাবকে আবশ্যক বলা হয় এজন্য য,ে একাধকি মাযহাব অনুসরণরে অনুমোদন থাকলে সবাই নজিরে রপিু পূজারী হয়ে যতে। যখন যে বধিান যখন ইচ্ছে পালন করতো, যে বধিান যখন ইচ্ছে ছড়েে দতিো। এর মাধ্যমে মূলত দ্বীন পালন হতোনা, বরং নজিরে প্রবৃত্তরি পূজা হত। তাই র্৪থ শতাব্দীর উলামায়ে করিাম একটি মাযহাবরে অনুসরণকে বাধ্যতামূলক বলে এই প্রবৃত্তি পুজার পথকে বন্ধ করে দয়িছেনে, যা সইে কালরে ওলামায়ে করিামরে র্সবসম্মত সীদ্ধান্ত ছলি। আর একবার উম্মতরে মাঝে ইজমা হয়ে গলেে তা পরর্বতীদরে মানা আবশ্যক হয়ে যায়।
ইসলাম র্ধমে বভিন্নি দল আর মত তরৈি করা হারাম। রাসূলবলনে:তোমরা ধারণা করা থকেে বঁেচে থাক। কনেনা অধকিাংশ ধারণা মথ্যিা হয় (বুখারী -৫১৪৩)। নবীজী ছলিনে মুসলমি এমনকি ইব্রাহমি (আঃ), ইসা (আঃ) মুসলমান ছলিনে। মাজহাব ইসলামরে খদেমতরে জন্য তবে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো মাজহাব অনুসারে ইসলাম মানবো না কী ইসলাম অনুসারে মাজহাব মানবো। এক্ষত্রেে অনকেইে মাজহাবরে অনুসারে ইসলাম মানার কথা দৃঢ় করে প্রচার করনে। যমেন লালন একটা মাজহাব। তার অনুসারীরা মনে করে ৫ বার নমাজে নয় বরং র্সাবক্ষণকি স্রষ্টার আরোধনার মধ্যে স্রষ্টাকে পাওয়া যায়। সুতারং তার অনুসারী তার মতকে মনেে স্রষ্টাকে পতেে চায়। সমস্যাটা এখান।ে আল্লাহ্ বলনে:নশ্চিয় সত্যরে বপিরীতে ধারণা কোন র্কাযকারতিা রাখে না (ইউনূস-৩৬)।
যারা নর্দিষ্টি মাজহাবরে পক্ষে তারা কোন দাললিকি প্রমাণ না দয়িে বলে যান প্রচলতি এই মথিরে মতো য,ে প্রত্যকে গ্রামে পাড়ায় একটা দঘিি ছলি। অনুষ্ঠান উপলক্ষে সখোনে সোনার নৌকা ছলি। কোন একদনি কউে একটা ঝনিুক চুরি করে তখন থকেে আর সোনার নৌকা ওঠে না। এ যমেন কউে দখেনেি ঠকি তমেনি শুনে শুনে প্রচলন। মাজহাব অনুসারী এমন। কুরআন-হাদীস থাকতে আমরা মাজহাব কনে মানব? এমন অভনিব ধরনরে প্রশ্ন ইদানীং অনকেে করে থাকনে। র্দীঘ ১৪০০ বছর এমন প্রশ্ন কোনো মুসলমান করনেন।ি কারণ একথা সবাই জাননে য,ে শরয়িতরে সব বধিানই আল্লাহ ও রাসুল (সা.) র্কতৃক নর্ধিারতি। কছিু বধিান শরীয়ত অফশনাল রখেছে,ে যা ইমামগণ গবষেণার মাধ্যমে বাছাই করে নবেনে। তবু মানুসরে মাঝে বরিোধরে শষে নইে। যমেন নামাজরে ফরজ মোট ১৪ট।ি আহকাম ৭ ট।ি আরকান ৭ ট।ি নামাজরে বাহরিরে কাজগুলকিে আহকাম বল।ে আর নামাজরে ভতিররে কাজগুলোকে আরকান বল।ে আহকামঃ ১. শরীর পবত্রি হওয়া। ২. কাপড় বা বস্ত্র পবত্রি হওয়া। ৩. নামাজরে জায়গা পবত্রি হওয়া। ৪. সতর ঢকেে রাখা। ৫. কবিলামুখী হওয়া। ৬. ওয়াক্তমত নামাজ আদায় করা। ৭.নামাজরে নয়্যিত করা। আরকানঃ ১.তাকবীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা। ২. দাঁড়য়িে নামাজ পড়া। ৩. সুরা ফাতহিার সাথে কুরআন পড়া। ৪. রুকু করা। ৫. দুই সজিদা করা। ৬. শষে বঠৈক করা। ৭.সালাম ফরোনোর মাধ্যমে সালাত শষে করা। এসব বষিয়ে কোন বরিোধ নইে। কন্তিু এক শ্রণেরি আলমে হাত বাঁধা, জোরে বা আস্তে তাকবীর বলা নয়িে একজন অন্য জনরে মন অনুসরণ করাকে হারাম বলে দনে যা আল্লাহ ও তার রাসূল করনেন।ি
আল্লামা ইবনে আব্দুল বার (রহঃ) আল- ইন্তকো নামক কতিাবে হযরত ইমাম মালকে (রহঃ) এর ঘটনা উল্লখে করছেনে। ইমাম মালকে (রহঃ) এর ছাত্র মায়ান বনি ঈসা (রহঃ) বলনে- একদা আবুল জুয়াইরয়িা নামক এক ব্যক্তি ইমাম মালকে (রহঃ) এর নকিট মসজদিে নববীতে আগমন করল। এ লোকটি মুরজয়িা হওয়ার অভযিোগে অভযিুক্ত ছলি। সে এসে ইমাম মালকে (রহঃ) কে বলল-"হে আবু আব্দুল্লাহ! আমার কথা শ্রবণ করুন, আমি আপনার সাথে আলোচনা করব, বর্তিক করব এবং আমার মতামত উল্লখে করবা মাম মালকে (রহঃ) তাকে বললনে-যদি তুমি আমার হে আবু আব্দুল্লাহ! আমার কথা শ্রবণ করুন, আমি আপনার সাথে আলোচনা করব, বর্তিক করব এবং আমার মতামত উল্লখে করব। ইমাম মালকে (রহঃ) তাকে বললনে-যদি তুমি আমার উপর বজিয়ী হয়ে যাও? সে বলল- আপনি আমার অনুসরণ করবনে। ইমাম মালকে (রহঃ) পুনরায় জজ্ঞিসে করলনে-যদি আমি তোমার উপর বজিয়ী হই? সে বলল- আমি আপনার অনুসরণ করব। ইমাম মালকে বললনে- আমাদরে নকিট যদি তৃতীয় কোন ব্যক্তি আসে এবং আমরা তার সাথে বর্তিক করি এবং সে আমাদরে উপর বজিয়ী হয়? সে বলল- আমরা তার অনুসরণ করব। ইমাম মালকে তাকে বললনে- আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) কে একই র্ধম দয়িে প্ররেণ করছেনে। আমি তোমাকে দখেছ-িএদকি সদেকি ছুটাছুটি করছ! হযরত উমর বনি আব্দুল আযীয (রহঃ) বলনে- যে ব্যক্তি তার দ্বীনকে বর্তিকরে লক্ষ্যবস্তু বানায়, তার ছুটাছুটি বৃদ্ধি পায়"
অভজ্ঞিতার আলোকে বলতে পারি য,ে এ সমস্ত অন্ধ অনুসারীগণ তাদরে ইমামদরে এমনভাবে বশ্বিাস করে য,ে তারা এ সব ভুলরে র্ঊধ্বে এবং তারা যা বলে তা অবশ্যই সঠকি। আর মনরে মধ্যে এ বষিয়টি ভাবে য,ে প্রকাশ্য দলীলরে বরিোধী হলওে সে তাক্বলীদ (দলীল বহিীন অনুসরণ) পরহিার করবে না। দারুল হজিররে ইমাম মালকিরে উপর আল্লাহ্ রহম করুন! যার মহৎ জ্ঞান, মহমিা ও অনুগ্রহে "মুওয়াত্ত্বা" সংকলতি হয়ছে।ে খলীফা মানসূর যখন সকল মানুষকে শুধু "মুওয়াত্ত্বায় সংকলতি সমস্ত হাদীসরে উপর আমল করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করলনে, তখন ইমাম মালকি (রাহমিাহুল্লাহ) তা গ্রহণ করনে ন।ি বরং তা প্রত্যাখ্যান করছেনে!! মুকাল্লদিরা দু'টি ক্ষত্রেে প্রতারতি হয়ে থাকনে। তারা মনে করে য,ে তাদরে এ ধারণা সত্য। অথচ তা সত্য থকেে অনকে দূর।ে এ ধারণা দু'টি আল্লাহর নন্মিোক্ত সাধারণ বাণীর অর্ন্তভুক্ত। আল্লাহ্ বলনে: আর যখন তাদরেকে বলা হয়, তোমরা অনুসরণ কর, যা আল্লাহ্ নাযলি করছেনে, তারা বল,ে বরং আমরা আমাদরে পতিৃ- পুরুষদরেকে যার উপর পয়েছেি তার অনুসরণ করব (সূরা বাকারা-১৭০)।
আরব উপদ্বীপরে প্রখ্যাত আলমে শাইখ মুহাম্মাদ বনি সালহি আল মুনাজ্জদি বলনে,
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। এই চারটরি মধ্যে একটি নর্দিষ্টি মাযহাবরে অনুসরণ করা মুসলমিদরে জন্য বাধ্যতামূলক নয়। পবত্রি কুরআনে আল্লাহ বলছেনে,“ তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধরো , পরস্পর বচ্ছিন্নি হয়ো না (সূরা আল ইমরানঃ ১০৩)। আল্লাহকে ভয় করার কথা বলার পর 'তোমরা সকলে আল্লাহর রশকিে শক্ত করে ধর'এর আদশে দয়িে এ কথা পরষ্কিার করে দলিনে য,ে মুক্তওি রয়ছেে এই দুই মূল নীতরি মধ্যে এবং ঐক্য প্রতষ্ঠিতি হতে ও থাকতে পারে এই মূল নীতরিই ভত্তিতি।ে
“পরস্পর বচ্ছিন্নি হয়ো না" এর মাধ্যমে দলে দলে বভিক্ত হওয়া থকেে নষিধে করা হয়ছে।ে র্অথাৎ, উল্লখিতি দু'টি মূল নীতি থকেে যদি তোমরা বচ্যিুত হয়ে পড়, তাহলে তোমরা পরস্পর বচ্ছিন্নি হয়ে পড়বে এবং ভন্নি ভন্নি দলে তোমরা বভিক্ত হয়ে যাব।ে বলাই বাহুল্য য,ে র্বতমানে দলে দলে বভিক্ত হওয়ার দৃশ্য আমাদরে সামনইে রয়ছে।ে কুরআন ও হাদীস বোঝার এবং তার ব্যাখ্যা ও বশ্লিষেণ নয়িে পারস্পরকি কছিু মতর্পাথক্য থাকলওে তা কন্তিু দলে দলে বভিক্ত হওয়ার কারণ নয়। এ ধরনরে বরিোধ তো সাহাবী ও তাবঈেনদরে যুগওে ছলি, কন্তিু তাঁরা ফর্কিাবন্দী সৃষ্টি করনেনি এবং দলে দলে বভিক্ত হয়ওে যানন।ি কারণ, তাঁদরে মধ্যে মতর্পাথক্য থাকলওে সকলরে আনুগত্য ও আকীদার মূল কন্দ্রে ছলি একটাই। আর তা হল, কুরআন এবং হাদীসে রসূল (সাঃ)। কন্তিু যখন ব্যক্তত্বিরে নামে চন্তিা ও গবষেণা কন্দ্রেরে আবর্ভিাব ঘটল, তখন আনুগত্য ও আকীদার মূল কন্দ্রে পরর্বিতন হয়ে গলে। আপন আপন ব্যক্তর্বিগ এবং তাদরে উক্তি ও মন্তব্যসমূহ প্রথম স্থান দখল করল এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলরে উক্তসিমূহ দ্বতিীয় স্থানরে অধকিারী হল। আর এখান থকেইে মুসলমি উম্মাহর মাঝে পারস্পরকি বচ্ছিন্নিতা শুরু হল; যা দনিে দনিে বাড়তইে লাগল এবং বড় শক্তভাবে বদ্ধমূল হয়ে গলে। সুতরাং দ্বন্দ্ব নরিসনকে কুরআন ও সুন্নাহ ছাড়া অন্য কারও দকিে প্রত্যার্বতন করাকে আল্লাহ্ বধৈ করনে ন।ি এরা এমন শ্রণেীর লোক যাদরে ব্যাপারে ইমাম তরিমযিী ও আদী বনি হাতমে থকেে র্বণনা করনে য,ে তনিি (হাতমে) বলনে, আমি নাবী কে পাঠ করতে শুনছে:ি তারা আল্লাহকে ছড়েে তাদরে পণ্ডতিগণ ও সংসার-বরিাগীদরে রব হসিবেে গ্রহণ করছেে (তাওবা-৩১)। ফলে আমি বললাম, হে আল্লাহ্ রাসূল! তারা তো তাদরে ইবাদাত করে না। রাসুল বলনে তারা যখন তাদরে জন্য কোন কছিু হালাল করে তখন তারা সটোকে বধৈ মনে কর।ে আর তারা যখন তাদরে জন্য কোন কছিু হারাম করে তখন তারা সটোকে হারাম মনে কর।ে সুতরাং এটাই তাদরে ইবাদাত করা হলো।
ইমাম শাফঈে (রাহমিাহুল্লাহ) থকেে র্বণতি আছে য,ে "হাদীস বরিোধী হওয়া সত্ত্বওে যে
ব্যক্তি কোন হালাল কংিবা হারামরে ব্যাপারে নর্দিষ্টি কোন ব্যক্তরি তাক্বলীদ করবে এবং
তাক্বলীদ তাকে সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করতে বাধা দবিে সে যনে আল্লাহ্ তা'আলা ছাড়া তাক্বলীদকৃত ব্যক্তকিে প্রভু হসিবেে মনেে নলি। আল্লাহ্ যা হারাম করছেনে তা সে তার জন্য হালাল করে নলি। আর আল্লাহ্ যা হালাল করছেনে তা হারাম করে নলি"। মারদাবী শাইখুল ইসলাম (রাহমিাহুল্লাহ) থকেে র্বণনা করে বলনে "যে স্বীয় ইমামরে প্রতি তাক্বলীদ করাকে আবশ্যক করে নলি, সে যনে এ থকেে তাওবা কর।ে "
কামাল বনি হুমাম হানাফী র্বণনা করনে য,ে বশিুদ্ধ অভমিত হলো, নর্দিষ্টি কোন মাযহাবকে আবশ্যক করে নয়ো অপরহর্িায নয়। কনেনা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল যা ওয়াজবি করছেনে তা ছাড়া আর কছিু ওয়াজবি নয়। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কারও প্রতি এটা ওয়াজবি করনেনি য,ে ইমামদরে মধ্যে কোন ব্যক্তরি মাযহাবরে অনুসরণ করতে হবে এবং দ্বীনরে ব্যাপারে তার তাক্বলীদ করতে হবে ও অন্য কছিু র্বজন করতে হব।ে অতীতরে গৌরবময় শতাব্দীগুলো বশ্লিষেণ করলে দখো যায় য,ে সে সময় নর্দিষ্টি কোন মাযহাবরে অনুসরণ করার আবশ্যকতা ছলি না। “সাহাবাদরে যুগে একজন ব্যক্তওি পাওয়া যাবে না, যে নর্দিষ্টি কোন ব্যক্তরি সকল কথার উপর তাক্বলীদ করছেনে এবং তার একটি কথাকওে বাদ দনে ন।ি আবার এমন ব্যক্তওি পাওয়া যাবে না, যনিি কোন ব্যক্তরি সকল কথাকে বাদ দয়িছেনে এবং তার কোন কছিুই গ্রহণ করনেন"ি।
পরশিষেে আমাদরে মতো আমজনতা বশ্বিাস কর বাচতে চায়। যে কোন বষিয়ে এক শতাংশ সত্যি হওয়ার সম্ভবনা থাকলে তাকে ভক্তি করতে চাই। খারজি করা যুক্তরি মাঝে সহনশীলতা দখেতে চাই। যাদরে কাছ থকেে দীনরে শক্ষিা নবে তাদরে মধ্যে পারস্পরকি শ্রদ্ধাবোধ দখেতে চাই। রাসূল (সঃ) এর মতো উদার সহনশীল মনোভাব চাই। নজিকেে শ্রষ্ঠে জ্ঞান করার মানসকিতা থকেে অন্যরে মতরে প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দখেতে চাই। আমাদরে লক্ষ্য হোক বভিাজতি মনোভাব পরহিার করে এক আল্লাহ ও তার রসূলরে উপর সুদৃঢ় থকেে ইসলামরে বজিয় সুনশ্চিতি করা। আল্লাহর রাসূলরে সুপারশিরে মাধ্যমে জাহান্নাম থকেে মুক্তি হোক চুড়ান্ত ফয়সালা।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.