আশ্রয়হীন চন্দনাকে ঘর দিল পুলিশ

যশোরের চৌগাছায় পৌরসভার তারনিবাসের বাসিন্দা চন্দনা রানী সরদার। ৪৯ বছর আগে ভারতের রানা ঘাটে বিয়ে হয় তার। বিয়ের দুবছর পরেই তার স্বামী তোরণ সরদারের মৃত্যু হয়।
এরপর গৃহহীন হয়ে পড়েন চন্দনা রানী সরদার। এর বাড়ি ওর বাড়ি কাজ করে ও ইটের খোয়া ভেঙে পার করে দিয়েছেন ৪৭ বছর। তারপরও মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলেনি। এক সন্তানের জননী চন্দনা রানী সরদারের অসহায়ত্ব দূর করতে এগিয়ে এসেছে চৌগাছা পুলিশ।
খোয়া ভেঙে কাজ করে সংসার চালানো চন্দনা রানী সরদার অসহায়ত্ব দূর করতে পৌরসভার পাঁচনামনা গ্রামে জমিসহ একটি পাকা ঘর করে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ঘর পাওয়ার খবরে আনন্দে আত্মহারা বিধবা চন্দনা রানী সরদারের চোখে মুখে স্বস্তির ছায়া। চন্দনা রানী সরদার বলেন, কি করে যে আনন্দটা দেখাবো বুঝতেই পারছিনে, খুব কষ্ট করে থাকতাম। আগে পুলিশ দেখলে ঘর থেকে বের হতাম না ভয়ে আর সেই পুলিশ আমার জন্য যা করল তার ঋণ কোনদিন শোধ হবার নয়। আজ পুলিশে আমাকে ঘর করে দিল, মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিল, আমি পুলিশের জন্য প্রাণ খুলে আশির্বাদ করি।