
অভয়নগরে সংখ্যালঘুদের গরু বাছুর ধরে নিয়ে যাচ্ছে দুবৃত্তরা; রাত জেগে পাহার
নওয়াপাড়া অফিস
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার সংখ্যালঘু(হিন্দু) সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের জানমাল রক্ষার জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। সুযোগ পেলেই দুবৃত্তরা তাদের বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করছে ও গরু-বাছুর ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর এ ধনের ঘটনা ঘটে চলেছে। স্থানীয় বিএনপি, জামাত নের্তৃবৃন্দ পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে বৈসাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর। সুযোগ সন্ধানী দুবৃত্তরা উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে অবসস্থিত সংখ্যালঘু (হিন্দু) সম্প্রদায়ের লোকের ওপর হামলা. তাদের বাড়িঘর ভাংগচুর সহ মালামাল ছিনিয়ে নিচ্ছে। জানমাল রক্ষার জন্য তারা এলাকায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা স্থানীয় কোদলা গ্রামের সুখেন মন্ডল জানান, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের তারিখ থেকে তাদের উপর নির্যাতন চলছে। ওই দিন সন্ধ্যার পর ১৫ থেকে ২০ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত তার নিকট আত্মীয় ভবানীপুর গ্রামের কৃষক প্রশান্ত রায়ের বাড়িতে হানা দেয়। তারা অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মী করে গোয়াল থেকে ছয়টি বিদেশী জাতের গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায় যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা। এতগুলো গরু নিয়ে যাওয়ায় পরিবারটি পথে বসেছে। পরে দিন দুবৃত্তরা কোদলা গ্রামের ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নিখিল হালদারের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ও তার দুইটি বড় গরু ধরে নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা সুন্দলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিকাশ কপিলের রাজাপুর বাজারের অফিস ভাংচুর করেছে। এ ছাড়া নওয়াপাড়া বাজারের কয়েকজন হিন্দুসম্প্রদায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাংচুর করেছে।
জয়খোলা গ্রামের মন্দির কমিটির সভাপতি চিরনজিৎ সরকার বলেন, গত সোমরার রাতে একদল দুর্বৃত্ত তার মামা রবি বিশ^াসের বাড়িতে হানা দেয় তারা অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে বেদম মারধর করে। তারা মেয়েদের পরনে থানা একটি স্বর্ণের আংটি, একজোড়া কানের দুল, নগদ ১০ হাজার টাকা, বাড়ির সমুদয় থালা বাসন, ও কিছু আসবাব পত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সুন্দলী গ্রামের প্রকাশ রায় বলেন, সরকার পতনের পর আমরা আতংকে আছি। জানমাল রক্ষার জন্য আমরা পালা করে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।
উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সরদার বলেন, সংখ্যা লঘুদের উপর কে বা কারা নির্যাতন করছে তা জানি না। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়া দলীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা দিতে। আমরা এলাকায় মাইকিংকরে তার বার্ত গুলো জানিয়ে দিচ্ছি। এ নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।