Type to search

অভয়নগরে শুভ্র কাশ ফুলের মোহনীয় স্নীগদ্ধতা নজরকাড়ে

অন্যান্য

অভয়নগরে শুভ্র কাশ ফুলের মোহনীয় স্নীগদ্ধতা নজরকাড়ে

রাজয় রাব্বি

আমার রুপসী বাংলায় শরৎ আসে একগুচ্ছ স্নিগ্ধ  শুভ্র ঘাসফুলের উত্তল তরঙ্গে। বিল – ঝিল আর স্রোতসিনীর বুক চিরে। যেখানে ধবল মেঘ আর নীল আকাশ লুকোচুরি খেলা করে। আমি আনমনে চেয়ে থাকি কুয়াশার চাদর মেলে।”

এমনি এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের আকিজ ডেইরী ফার্মের বিস্তীর্ণ বালুর মাঠে।

সেখানে শুভ্র কাশ ফুলের স্নিগ্ধ পরশ বুলাতে শত শত প্রকৃতিপ্রেমীক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন। এ যেন এক ভিন্নরকম অনুভূতি। আনন্দে মেতে উঠছে  শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী। দৃশ্য ধারণ আর সেলফি তুলে নিজেকে মেলে ধরছে প্রকৃতির মাঝে।

উপজেলার পায়রা বাজার থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী তমা খাতুনের সাথে কথা হয় সেখানে। তিনি বলেন,‘ ‘আমরা কাশ ফুলের সৌন্দয উপভোগ করতে বান্ধবীদের সাথে এখানে ছুটে এসেছি। পতিত জমি না থাকায় দিন দিন হারাতে বসেছে শরতের এ কাশফুল। একটা সময় বিভিন্ন জায়গায় কাশবনের কাশফুল দোল খেতে দেখা যেতো।এখন তেমন দেখা যায় না। এখানে কাশফুল হওয়ায় দুলতে দেখে খুব ভাল লাগছে।’
উপজেলার একতারপুর গ্রামের গ্রামতলা এলাকার শাহ্ আলমের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন বলেন,‘ লোকমুখে শুনে কাশবনে পরিবারসহ ঘুরতে এসেছি। সাদা কাশফুল বাতাসে দুলতে দেখে মনটা সত্যিই আনন্দে ভরে ওঠে।’
কাশবনে পরিবারসহ ঘুরতে এসেছেন উপজেলার ধোপাদী গ্রামের নতুন বাজার এলাকার জুনায়েদ শেখ। তিনি বলেন,‘ পানিবন্দি এলাকায় বসবাস করতে আর মনচাইছে না। তাই বিকেল বেলাটায় একটু ঘুরে বেড়াচ্ছি। এখানে কাশফুলের নরম ছোঁয়ায় মনটাও যেন নরম হয়ে যায়।’
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি এখানে নতুন জয়েন্ট করেছি। কাশফুল দেখতে যাওয়া হয়নি। কাশবনে দর্শনার্থীদের যেন কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য ব্যবস্থা করবো ‘