বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন

নওয়াপাড়া অফিস: যশোরের অভয়নগর উপজেলায় চতুর্থ ধাপে নির্বাচন সম্পন্ন হয় রোববার।ভোট গ্রহণ চলাকালে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হলেন যারা।
১ নং প্রেমাবাগে বিজয়ী হয়েছেন মো: মফিজ উদ্দিন (নৌকা ) তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মশিউর রহমান (আনারস)পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৩২ ভোট।
২ নং সুন্দলীতে বিকাশ রায় কপিল(নৌকা) পেয়েছেন ২ হাজার ৪৬৩ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকাশ চন্দ্র মল্লিক (চশমা)পেয়েছেন ২ হাজার ৩৯৮ ভোট।
৩ নং চলিশিয়ায় বিজয়ী হয়েছেন সানা আব্দুল মান্নান (আনারস ) পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৬ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মশিউর রহমান (নৌকা)পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৫ ভোট।
৪ নং পায়রায় বিজয়ী হয়েছেন হফিজুর রহমান (নৌকা ) পেয়েছেন ৬হাজার ৩১০ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফিরোজ আলম (আনারস)পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৯৭ ভোট।
৫ নং শ্রীধরপুরে বিজয়ী হয়েছেন মো: নাসির উদ্দিন (নৌকা ) তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলী(আনারস)পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৫ ভোট।
৬ নং বাঘুটিয়ায় মো: তৈয়েবুর রহমান স্বতন্ত্র(মটরসাইকেল ) পেয়েছে ৫ হাজার ৫৩ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অর্জুন সেন নৌকা)পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৭৭ ভোট।
৭ নং শুভরাড়ায় মাওলানা জহিরুল ইসলাম(চশমা) ৩ হাজার ৪০৩ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: কামাল হোসেন স্বতন্ত্র ঘোড়া)পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬৫ ভোট।
৮ নং সিদ্দিপাশায় শেখ আবুল কাশেম স্বতন্ত্র ( মটর সাইকেল) পেয়েছেন ৮ হাজার ৫০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খান এ কামাল (নৌকা)পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৫ ভোট।
অভয়নগরে বাঘুটিয়া ও শুভরাড়া ইউনিয়নের গুলাগুলি
দুই কেন্দ্রে গুলাগুলি
বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পোতপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট ছিনিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশ ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় সেকানে ভুগিল হাট গ্রামের দিপঙ্হর দাস (২৮),মনা দাস (৬৫),বাদল দাস(১৮), প্রসেনজিত দাস(১৮) ও চেয়ারম্যান প্রাথী আজিম হোসেন(আনারস প্রতীক) আহত হয়েছেন।
এছাড়া শুভরাড়া ইউনয়নের বাসুয়াড়ী পুরুষ কেন্দ্রে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী বি এম জাকির হোসেনের(আনারস) পক্ষে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে যেয়ে পুলিশি বাঁধায় পন্ড হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ১০/১২ রাউন্ড রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।এঘটনায় আ.লীগের বিদ্্েরহী প্রার্থী এ বিএম জাকির হোসেন আহত হয়েছেন। এছাড়া ওই কেন্দ্রে কর্মরত পোলিং অফিসার আবদুর রহমান ও একজন পুলিশের এস আই আহত হন।ওই দুটি ভোট ক্ন্দ্রে চালু থাকলেও পরে কোন ভোটর ভোট দিতে আসে নি।

এদিকে ভোট সুষ্ঠ সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ওই আট ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮ জন। ভোট যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩৯ জন,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৯৪ জন ও সাধারণ সদস্য রয়েছেন ২৭২ জন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ, বিজিবি ও আনছার সদস্য মিলে ২শতাধিক সদস্য।