Type to search

অভয়নগরে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষের  হামলায় একজন নিহত দুইজন গুরুতর আহত

অভয়নগর

অভয়নগরে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষের  হামলায় একজন নিহত দুইজন গুরুতর আহত

  1. অভয়নগরে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষের  হামলায় একজন নিহত দুইজন গুরুতর আহত
    অভয়নগর প্রতিনিধি-
    যশোরের অভয়নগর উপজেলায় মসজিদের মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া অপর একজন দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন।  ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (১৯সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মশরহাটী গ্রামে আব্দুল কুদ্দুসের চায়ের দোকানের সামনে ভৈরব ব্রিজের সংযোগ সড়কের ওপর।
    নিহত ব্যক্তিন নাম মতিয়ার রহমান বিশ্বাস ওরফে মতি বিশ্বাস (৪৬)। তিনি উপজেলার মশরহাটী  গ্রামের মৃত হাশেম আলী বিশ্বাসের ছেলে। আহতরা হলেন  উপজেলার বনগ্রামের মৃত মজিদ শেখের ছেলে মো: হালিম(৩৫)ও একই গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম লিটন (৪০)। আহতরা মশরহাটী গ্রামের আবুল হোসেন বাবুর ভাড়াটিয়া।আহত দুইজন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
    নিহত মতি বিশ্বাসের  স্ত্রী মিম খাতুন বলেন, ‘রাতের আঁধারে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার স্বামীসহ তার দুই বন্ধুকে কুপিয়ে মৃত নিশ্চিত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার স্বামীর নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগিতায়  জখম তিনজনকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্বামীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াঘটনা স্থল থেকে দৌড়ে মনির হোসেন নামে একজন আত্মরক্ষা করেছেন।’
    মনির হোসেন বলেন,‘ আমরা একটি রাজনৈতিক প্রগ্রামে নদীর ওপারে ছিলাম।  প্রেগ্রাম শেষে এলাকায় আসি এ সময় চায়ের দোকানে চা খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় শেখ পাড়া মসজিদ থেকে  মাইকে বলতে শুনি নজরুল শেখ এর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। এমন সময়আমার মনে খটকা লাগে। মুহুর্তের মধ্যে দেখি কিছু মানুষ আমাদের দিকে দৌড়ে আসছে। খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে বুঝে দৌড়ে পালিয়ে আসি। কিন্তু আমার সাথে থাকা মতি বিশ্বাস, মো হালিম ও মনিরুল ইসলাম লিটন তাদেও হাতে ধরা পড়ে। হামলাকারিরা রাম দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে তাদের উপর হামলা করে।’
    আহত মনিরুল ইসলাম লিটন এর স্ত্রী রাশিদা বেগম বলেন,‘ আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার স্বামীর গায়ে রক্তে ভরা তাড়াতাড়ি অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  নিয়ে যাই সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন ডাক্তার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। পরে আমরা তাকে সিটি মেডিকেল নিয়ে আসি। এখানে অপারেশন করা হয়েছে। তার অবস্থা ভালো না আইসিইউ এর ভিতরে রাখা হয়েছে।’
    অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম, ‘ঘটনার সত্যতা স্বাীকার কওে বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কোন এজাহার দায়ের হয়নি। তাই কি কারনে এ হামলা হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছে না।’