অভয়নগরে জয়ারাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্যর চেষ্টার অভিযোগ

অভয়নগর প্রতিনিধি
অভয়নগরে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের জয়রাবাদ সন্মলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও ও বিদ্যেৎসাহী সদস্যর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য করে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীরা গত ৭/২/২৩ ফেব্রæয়ারী মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদ সদস্য, উপপরিচালক, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার , উপজেলা ম্ধ্যাামিক শিক্ষা অফিসার, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাব, যশোর প্রেসক্লাবে অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জয়রাবাদ সন্মলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কাম হিসাব সহকারী, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। একই সাথে আরও তিন ব্যক্তির থেকে নিয়োগের কথা বলে প্রধান শিক্ষক কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারাও করেছেন এই নিয়োগ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগকারী ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য স‚ত্রে জানা যায়, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের জয়রাবাদ সন্মলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক , সভাপতি ও বিদ্যুসাহী সদস্যর যোগসাজসে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ৪টি পদে গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম করেছেন। ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাদের নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সর্ম্পকে কোন কিছুই অবগত করেনি। কোনো মিটিং বাদেই গোপনে আগে প্রধান শিক্ষক সভাপতির ভাইয়ের বউ মৌসুমি ইসলামকে অফিস কাম হিসাব সহকারী, ও কমিটির বিদ্যেৎসাহী সদস্যর ছেলে প্রান্ত ঠাকুরকে অফিস সহায়ক, সভাপতির বড় ভাইয়ের বডিগার্ড ইমরান হোসেন রিফাতকে নিরাপত্তা কর্মী এবং অভিভাবক সদস্যর স্ত্রী প্রীতিলতা কে আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনেছেন। কেউ যেন বিষয়টি সম্পর্কে না জানে এ জন্য রাতের আধারে ঐ তিন কর্মচারীর কে নেয়ার পায়তারা করছেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করার তাকে পরিচালনা পরিষদের সদস্য পদ থেকে বহিঃষ্কার করারও হুমকি দিয়েছেন সভাপতি-প্রধান শিক্ষক। অভিযোগকারী নিলয় বিশ্বাস, শুভংকর অধিকারী, মো. রফিকুল, মো. রবিউল ইসলাম, বিজয় বিশ্বাস, সঞ্জয় বিশ্বাস, আকাশ, পুর্নিমা সেন জানান, স¤প্রতি কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে কোনো আলোচনা বা মিটিং না করে গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করছে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি যা সম্প‚র্ন অবৈধ। এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহিতোষ বিশ্বাস জানিয়েছেন নিয়োগ বিধি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হচ্ছে, তাছাড়া ৪০ জনের অধিক প্রার্থী আবেদন করেছে। তাদের মধ্যে থেকে মেধা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী প্রথম থেকে নিয়োগ পাবে। নিয়োগ বিষয়ে স্কুলের সভাপতি খালিদ হাসান খান জানান, একটি মহল স্কুল এবং কমিটির ভাবম‚র্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তবে নিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কোন অর্থের লেনদেন হচ্ছে না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। শুনেছি নিয়োগ প্রক্রিয়া টি চলমান। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নিয়োগ বন্ধের একটি আবেদন পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।