অভয়নগরে ফুলতলা বনিক সমিতির নেতার খুনের ঘটনায় আরো ৩ আসামী আটকে করা হয়েছে। অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে ও খুলনা ডিপি পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার রাতে ওই ৩ জনকে খুলনা পিটি আই মোড় থেকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় তাদেরকে যশোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, সুব্রত মন্ডল(৫২) তুহিন হালদার(৩৪) পিষুস মন্ডল(২৭)। তাদের উভয়ের বাড়ি দামুখালী গ্রামের। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে অভয়নগরের দত্তগাতী গ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন রকিবুল। এ সময় তাঁর স্ত্রী বর্ষা বেগম গুলিবিদ্ধ হন। বৃহস্পতিবারে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে যশোরের অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতী গ্রামের একটি বাড়িতে বেড়াতে আসেন রকিবুল। সেখান থেকে রাতে দত্তগাতী জামিরা বাজার সড়ক দিয়ে তিনি বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে দত্তগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছান। তখন আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁর মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর পেটে গুলি লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রকিবুলকে মৃত ঘোষণা করেন। রকিবুল আলকা গ্রামের মাহাবুব খন্দকারের ছেলে। তিনি অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা ওলিয়ার রহমান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।পরে অভয়নগর থানায় যেয়ে নিহত রকিবুলে মা রহিমা বেগম নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করেন। মামলা নং ১০। এর আগে দুই জন মেম্বরকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দামুখালী গ্রামের মিলন হালদার ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য দত্তগাতী গ্রামের সাইফুল ইসলাম মোল্যা। নিহত রকিবুল ফুলতলা বণিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন মন্ডল বলেন, রকিবুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুব্রত মন্ডল(৫২) তুহিন হালদার(৩৪) পিষুস মন্ডল(২৭)কে খুলনা পিটি আই মোড় থেকে আটক করা হয়েছে। এর আগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে যশোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়ও এব্যাপারে অভিযান অব্যহত আছে।