অভয়নগর প্রতিনিধি:
অভয়নগর উপজেলার শিশু নাঈম কে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামী আমজাদ হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার (১৪ আগস্ট) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল’র আদালত রিমান্ডের শুনানী শেষে এ রায় প্রদান করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নাঈমাকে ধর্ষেণের পর হত্যা করার কথা উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। সাক্ষীদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক ঘটনাস্থলের পাশ থেকে পুলিশ নাঈমার কানে পরিহিত স্বর্ণের দুল উদ্ধার করে।
গত ৭ আগস্ট রাত সাড়ে দশটায় উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি মাছের ঘেরের কচুরিপানার মধ্য থেকে শিশু নাঈমা(৮) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই সন্দেহের তালিকায় থাকা আমজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। এঘটনায় শিশু নাঈমার পিতা মনিরুল বিশ্বাস বাদী হয়ে ৯ আগস্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় আমজাদ কে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরন করেন। পুলিশ আসামী আমজাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আজ রবিবার (১৪ আগস্ট) সিঃ জুডিঃ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক পলাশ কুমার দালাল আসামির দুই দিনের রিমান্ড মন্জুর করে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান জানান, এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিলে এজাহারটি আমলে নিয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(২) তৎসহ ২০১ পেনাল কোডে অভয়নগর থানার মামলা মামলা রজু করা হয়েছে যাহার মামলা নং-১০/১৮৪, তারিখ- ০৯/০৮/২০২২ এবং অভিযুক্ত আমজাদকে গ্রেফতার করে বিচারের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ধর্ষণ ও হত্যা ৮ বছর বয়সি দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী শিশু নাঈমা খাতুনকে ধর্ষনের পর হত্যার অবিযোগে অভিযুক্ত উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত কোরাইশ মোল্যা ওরফে কুশো মোল্যার পুত্র মোঃ আমজাদ মোল্যা (৪০) এর রিমান্ড মন্জুর করেছে আদালত। থানার অফিসার ইনচার্য একেএম শামীম হাসান বলেন, ‘আসামীর দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। নাঈমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে না ধর্ষণ করাকালিন সে মারা গেছে তা রিমান্ডে স্পষ্ট হবে।’
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.