বিশেষ প্রতিনিধি
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠগুলো যেন রূপকথার ক্যানভাসে রঙিন হয়ে ওঠে। দিগন্তজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সরিষা ফুলের উজ্জ্বল হলুদ রং প্রকৃতিকে এনে দিয়েছে নতুন প্রাণ। বাতাসে ভেসে বেড়ায় ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ, আর মৌমাছির গুঞ্জনে চারপাশ হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয় এক অপরূপ দৃশ্য।
উপজেলার গ্রামাঞ্চলজুড়ে যেখানে চোখ যায়, সেখানেই সরিষা ফুলের সমাহার। সকালের রোদে ফুলের পাপড়িতে ঝিলমিল করে আলো, আর বিকেলের নরম ছায়ায় সেই হলুদ রং হয়ে ওঠে আরও কোমল ও মায়াবী। পথচারী, শিক্ষার্থী কিংবা কৃষক সবাই একটু থেমে তাকিয়ে থাকেন প্রকৃতির এই অনন্য সৌন্দর্যের দিকে।
কৃষকরা জানান, এবার অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো চাষাবাদের ফলে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। সরিষা শুধু ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণই করে না, এই ফুল মৌমাছির অন্যতম খাদ্য উৎস হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে মধু উৎপাদনেও সরিষার অবদান উল্লেখযোগ্য।
শহুরে কোলাহল থেকে দূরে, অভয়নগরের সরিষা ফুলে ভরা মাঠ যেন প্রকৃতির নীরব ভাষায় বলে যায় এখনো গ্রামবাংলার সৌন্দর্য অটুট আছে। হলুদের এই সমাহার শুধু চোখের তৃপ্তিই নয়, বরং গ্রামীণ জীবনের আশা ও সম্ভাবনারও প্রতীক।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয় হাজারেরও বেশি কৃষক উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করে প্রায় ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা তিন হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.