Type to search

অন্তঃসত্ত্বা রোগীর পেটে ইন্টার্ন চিকিৎসকের লাথি!

জেলার সংবাদ

অন্তঃসত্ত্বা রোগীর পেটে ইন্টার্ন চিকিৎসকের লাথি!

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: অন্তঃসত্ত্বা রোগীর পেটে লাথি ও তার স্বজনদের মারপিটের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।

ঘটনার পর শনিবার রাতেই রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছে বেসরকারি ক্লিনিকে। বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারিপিট করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। তবে, রোগীর স্বজনদের সাথে ইন্টার্রণ চিকিৎসকদের বাকবিতন্ডার কথা স্বীকার করলেও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বমি ও পেটব্যথার চিকিৎসা করাতে  বুধবার (১৮ আগস্ট) বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বাসিন্দা আসলাম হোসেন তার দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জয়নব বেগম কে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। আসলামের অভিযোগ,  ভর্তির পর থেকে কয়েক দিন পেড়িয়ে গেলেও সিনিয়র  চিকিৎসক জয়নবসহ মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি কোন রোগীকেই দেখতে আসেননি। এদিকে বেড়েই চলছে রোগীর শারীরিক সমস্যা। প্রতিকার না পেয়ে শনিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিষয় ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে নিজের মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারন করেন আসলাম। তার দাবি, শনিবার রাতে এ নিয়েই বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তার উপর চড়াও হন একদল ইন্টার্ণ চিকিৎসক। তাতে বাধা দিতে গেলে আসলামের ভাই কেও মারধর এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী  জয়নবের পেটে  লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ করেন আসলাম হোসেন।

একই অভিযোগ করে ঘটনার সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, মারপিটে বাধা দিতে গেলে তাদের উপরেও চড়াও হন ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা। মারপিটের ঘটনার পর ক্লিনিকে ভর্তি হলে জয়নবের তলপেটে আঘাতের কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কথা জানান ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

তবে, সজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার আব্দুল ওয়াদুদ দাবি করেন,  মারপিট নয়, অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা বিলম্ব হওয়ায় ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের সাথে রোগীর স্বজনরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন। পরে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তার সমাধান করা হয়৷

এঘটনায় কেউই কোন অভিযোগ বা মামলা করেননি থানায়। তবে, শজিমেক কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যটা উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে।সূত্র,ডিবিসি নিউজ