Type to search

সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের অফিস সিলগালা ও সাইনবোর্ড অপসারণ

জাতীয়

সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের অফিস সিলগালা ও সাইনবোর্ড অপসারণ

আবু হানিফ, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের অফিস সিলগালা ও সাইনবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার ২৬ আগস্ট বিকেলে উপজেলার রায়েন্দা বাজার পাঁচরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা অবৈধ  অফিসকে সিলগালা ও সাইনবোর্ড অপসারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া গ্রামের আঃ সামাদ হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের উত্তরাধীকারী হিসেবে দাবি করে বিভিন্ন লোককে সুন্দরবন, উপকূলীয় অঞ্চলের জমি দলিল করে দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। গত সোমবার (২৪ আগস্ট) উপজেলার রায়েন্দা বাজারের পাঁচরাস্তা এলাকায় সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের অফিস উদ্বোধন ও অফিসের সামনে সাইনবোর্ড স্থাপন করলে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীনের নজরে আসলে অফিস কক্ষটিকে সিলগালা করে দেন।
সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের মালিকানার দাবীদার আঃ সামাদ হাওলাদার বলেন, জমিদারী আমলের কাগজপত্র ও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এ অঞ্চলের জমির মালিক আমি। এখানে কারও বসবাস করতে হলে আমার কাছ থেকে সবার নতুন করে জমি বন্দোবস্ত নিতে হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলাদেশ জমিদারী প্রথা নেই। দেশের সকল জমির মালিক সরকার। জনৈক আঃ সামাদ হাওলাদার সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের নামে রায়েন্দা বাজারে একটি অফিস করেছেন। তিনি খুলনা, সাতক্ষিরা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বাগেরহাট অঞ্চলের সকল জমির মালিকানা দাবি করছেন। বাংলাদেশের কোন আইন তিনি মানতে রাজি নন। যা এক ধরণের রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। আমরা প্রাথমিকভাবে তার অফিস সিলগালা ও সাইনবোর্ড অপসারণ করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tags: