Type to search

সাংবাদিক বালুর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

খুলনা

সাংবাদিক বালুর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: দৈনিক জন্মভূমির প্রতিষ্ঠাতা, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, একুশে পদকে ভূষিত অকুতোভয় সাংবাদিক শহীদ হুমায়ূন কবীর বালুর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার (২৭ জুন)।
বালুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে খুলনা প্রেসক্লাব।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল পৌনে ১১টায় শহীদ সাংবাদিক স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ১১টায় ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। 

অপরদিকে বালুর মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য দৈনিক জন্মভূমি ও দৈনিক রাজপথের দাবি পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ফাতেয়া পাঠ, কবর জিয়ারত ও ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ।

২০০৪ সালের এদিনে হুমায়ূন কবীর বালু নিজ প্রতিষ্ঠান দৈনিক জন্মভূমির প্রধান ফটকে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন। দিনটি ছিল তার জীবনের একটি আনন্দময় দিন। একমাত্র মেয়ের হুসনা মেহেরুবা টুম্পা মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে কৃতকার্য হয়। সেই আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে তিনি বড় ছেলে আসিফ কবীর (বর্তমানে দৈনিক জন্মভূমির প্রকাশক), ছোট ছেলে আশিক কবীর ও মেয়ে টুম্পাকে নিয়ে মহানগরের ইকবালনগরস্থ বাড়িতে যান মাকে মিষ্টি মুখ করাতে। কিন্তু এ আনন্দঘন পরিবেশকে অশুভ কালো ছায়া দিয়ে মুড়ে দিতে একটুও হাত কাঁপেনি সন্ত্রাসীদের। ইকবালনগর থেকে নিজ গাড়িতে করে বালু এসে পৌঁছান জন্মভূমি ভবনে। প্রথমে গাড়ির বাম পাশ দিয়ে নামেন ছোট ছেলে আশিক ও টুম্পা। ডান পাশ দিয়ে প্রথমে নামেন বড় ছেলে আসিফ কবীর ও পরে বালু। গাড়ি থেকে নেমে দৈনিক জন্মভূমি ভবনের গেটে পা দিতেই সন্ত্রাসীরা জাতিসংঘ শিশুপার্কের সামনে থেকে তার ওপর বোমা নিক্ষেপ করে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া বোমা তার শরীরে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। জন্মভূমি পরিবারের সদস্যরা, পাড়া প্রতিবেশী, সাংবাদিক ও আত্মীয়-স্বজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বোমার স্প্রিন্টার বড় ছেলে আসিফ কবীরের গায়ে লাগলেও আঘাতগুলো মারাত্মক ছিল না।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম