Type to search

যশোর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে পৌনে দুই ঘন্টায় ট্রেন পৌঁছে যাবে ঢাকায়

যশোর

যশোর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে পৌনে দুই ঘন্টায় ট্রেন পৌঁছে যাবে ঢাকায়

অপেক্ষা মাত্র এক বছর

যশোর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে পৌনে দুই ঘন্টায় ট্রেন পৌঁছে যাবে ঢাকায়

মিঠুন দত্ত
পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে চড়ে ঢাকা পৌঁছতে মাত্র পৌনে দুই ঘন্টা সময় লাগবে। পাল্টে যাবে দক্ষিণ বঙ্গের চিত্র অপেক্ষা মাত্র এক বছর।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) কারণে বদলে যাচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল নেটওয়ার্ক। সেতুতে ট্রেন চালু হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মানুষ রেলপথে আসতে পারবেন ঢাকায়।
রেলপথ মন্ত্রণালয় বলছে, ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। এতে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ২১০ কোটি ১১ লাখ টাকা।
ঋণচুক্তির আওতায় চায়না এক্সিম ব্যাংক বাকি অর্থায়ন করেছে। এই প্রকল্প জিটুজি পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি)।
প্রকল্পে ঢাকার মেট্রোরেলের মতো ইলেকট্রিক ট্রেনের প্রযুক্তি থাকছে। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির ট্রেন ব্রডগেজ লাইনে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পাগলা হয়ে বুড়িগঙ্গা পার হয়ে মাওয়া, পদ্মা সেতু, জাজিরা, ভাঙ্গা, নড়াাইল, জামদিয়া হয়ে পদ্মভিলা পর্যন্ত যাবে। এরপর একটি শাখা যশোরের রূপদিয়া স্টেশন এবং অন্যটি খুলনার সিংগিয়া স্টেশনে যুক্ত হবে।
জুলাই মাসেই পদ্মা সেতুর নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন শুরু হওয়ার কথা। পুরো রেলপথের মধ্যে ২৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার থাকবে উড়াল বা এলিভেটেড। দেশে এটিই হবে প্রথম উড়াল ও লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথ। এ পথে নতুন ১৪টিসহ ২০টি স্টেশন হচ্ছে নান্দনিক নকশায়। আগামী ডিসেম্বরে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে রেল চলাচল শুরু টার্গেট রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পটি আমরা তিন অংশে ভাগ করে কাজ করছি। এগুলো হলো ঢাকা- মাওয়া, মাওয়া-ভাঙ্গা আর ভাঙ্গা-যশোর অংশ।
‘বর্তমানে কাজের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৭৫ শতাংশ। আমাদের প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশে। সেখানে অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেলপথের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অগ্রগতি প্রায় ৬০ শতাংশ।’
প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য দেশি-বিদেশি প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক দিন-রাত কাজ করছেন। এর মধ্যে বিদেশি শ্রমিক আছেন প্রায় এক হাজার।
আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে সেতু বিভাগ আমাদের হাতে পদ্মা সেতু হস্তান্তর করবে। এর সঙ্গে সঙ্গে আমরা মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু করে দেব। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণরুপে শেষ হলে এই রেলপথে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব কমবে ১৯০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগবে মাত্র পৌনে ২ ঘণ্টা।’