Type to search

যশোরে শিক্ষকদের বেতন পরিষদের দাবিতে গণমোর্চার বিক্ষোভ সমাবেশ

যশোর

যশোরে শিক্ষকদের বেতন পরিষদের দাবিতে গণমোর্চার বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঈদের আগেই শিক্ষক ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে যশোরে নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল এক প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ।

(এনটিআরসিএ) শিক্ষক ও টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, যশোর অঞ্চলের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । শনিবার সকাল ১২ টার জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট চারখাম্বা এলাকায় প্রতিবাদী সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
গণমোর্চার যশোর অঞ্চলের আহবায়ক কমরেড খবির শিকদারের সভাপতিত্বে প্রাতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন এর সদস্য সুরাইয়া শিকদার এশা। বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল জেলা সদস্য ইয়াসির আরাফাত। আরো বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার ইলা। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু। সবাই আরো উপস্থিত ছিলেন শিমুল বিশ্বাস, শামীম হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকতা হচ্ছে মহান পেশা যেখানে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া উচিত সেখানে আমাদের রাষ্ট্র পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ । এই লজ্জা আজ শুধু আমাদের নয় পুরো জাতির। কারিগরি ত্রুটির কথা বলে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বিলম্ব করার কোন সুযোগ নেই।
অতীব গুরুত্বতার সাথে বিশেষ টেকনিক্যাল টিম গঠনের মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন ভাতার সমস্যা দ্রুত নিরসনের দাবি করে।
অন্যদিকে শ্রমিকদের প্রসঙ্গে বক্তারা আরো বলেন,
এ্যাপারেল প্লাস ইকো লিমিটেড এবং টিএনজেড এপারেলস লিঃ, এপারল আর্ট লিমিটেড শ্রমিকেরা গত
৩ মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবীতে গত ৫ দিন ধরে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান করলেও পাওনা পরিশোধে মালিক এবং সরকার কেউ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। উল্টো শ্রমিকদের নানাভাবে নির্যাতন করছে। শ্রম উপদেষ্টার গাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের যে দাবী করেছেন তা হাস্যকর ও কৌতুক মাত্র। প্রায় ৩,২০০ জন শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ৩০০ জন এর মত শ্রমিক তাদের পাওনার সামন্য ১২,৫০০ টাকার মত পেয়েছে। যা এক মাসের ৮০/৮৫ শতাংশের মত।আর অধিকাংশ শ্রমিক কোন টাকাই পায়নি। এটা শ্রমিকদের সাথে তামাশার শামিল। দায়িত্বশীল একজন উপদেষ্টার কাছ থেকে জাতি এরূপ ব্যবহার আশা করে নাই।
দ্রুত সকল শ্রমিকের সকল পাওনা পরিশোধের দাবী জানান অন্যথায় যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য সরকারেই জবাবদিহি করতে হবে।