যশোরের জামায়াত নেতা আমিনুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাগেরহাট থেকে গ্রেফতার
উৎপল ঘোষ,ক্রাইম রিপোর্টার :
যশোর কোতয়ালী থানার মামলার সুত্রে জানা যায়, ভিকটিম আমিনুল ইসলাম সজল (৪৩)সদর খোলাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আজিজুল ইসলামের পুত্র।তিনি যশোর একজন হার্ডওয়্যার এবং সেনিটারী ব্যবসায়ী। গত ইং ০৪ নভেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যার দিকে যশোর জেলার কোতোয়ালী মডেল থানাধীন খোলাডাঙ্গা গ্রামের সার-গোডাউন গাজীর বাজারে ভিকটিমের নিজ দোকানে বেচা-কেনা করে এশার নামাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে জনৈক ব্যক্তির বাড়ির সামনে পাঁকা রাস্তার উপর পৌঁছালে ভিকটিমের গতিরোধ করে কিছু দুষ্কৃতিকারী অতর্কিতভাবে হামলা করে ভিকটিমের হাতে, বুকে ও পিঠে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পলিয়ে যায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামিরা বীর দর্পে এলাকায় সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক ব্যবসায় বিরোধীতা করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমের সাথে আসামিদের বিরোধ চলে আসছিল বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম আমিনুল ইসলাম সজলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।উক্ত হত্যা সংক্রান্তে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতোয়ালী মডেল থানায় ০১ টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব -৬, সিপিসি -৩ যশোর কোঃ ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যকর হওয়ায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য যশোর ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতা আজ ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ৩ টা ৩০ মিনিটের সময় র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর এবং সদর কোম্পানির একটি যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টোকন এর পুত্র স্বরন (২৫) কে আটক করে। উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিকে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।