মা ‘র সহযোগিতায় শিশু ধর্ষণ ; ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র
এফ এইচ সুমন,গুইমারা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি:-
মায়ের কোলেই সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান।কিন্তু সেই মা’যখন নিজের যৌন লালসা মিঠাতে গিয়ে নিজের গর্ভের সন্তানকে প্রেমিককে দিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে তখন সেই মায়ের বর্ণনা কি বলা যাবে।সত্যিই এমন মায়ের বর্ণনার ভাষা হয়না।সম্প্রতি গুইমারা উপজেলার ডাক্তার টিলায় এমনি এক চাঞ্চল্যকর নাবালিকা শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। সর্বমহল থেকে দাবী উঠেছে এমন জঘন্যতম অপরাধের জন্য দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তির।কিন্তু,মায়ের সহযোগিতায় শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারনের মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
গুইমারা উপজেলা ডাক্তার টিলার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম বিদেশ থাকার সুযোগে স্ত্রী সাহেদা আক্তার ময়না,একই এলাকার বাসিন্দা শ্যাম প্রসাদ বনিকের সাথে গড়ে তুলে অবৈধ সম্পর্ক।এক পর্যায়ে, এ সম্পর্ক শারিরীক সম্পর্কে পৌছে।ময়না ও শ্যাম প্রসাদ বনিক পশ্চিমা বিশ্বের মত করে ব্লু ফিল্ম স্টাইলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে শারিরীক ভাবে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে মুঠোফোনে অপকর্মের ভিডিও ধারন করে।মায়ের অপকর্মের ঘটনা দেখে ফেলায় নিজের অপকর্ম ঢাকতে নিজের গর্ভের ১৩ বছর বয়সের নাবালিকা কন্যাকে প্রেমিক শ্যাম প্রসাদ বনিককে দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে পশ্চিমা স্টাইলে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে।
ভিকটিমের প্রবাস ফেরত অসহায় পিতা শিশু কন্যার যৌন নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করলে ও এখনো পর্যন্ত যথাযথ আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করতে ব্যার্থ হয়েছেন।পুলিশসহ একটি কুচক্রীমহল এই ন্যক্কার জনক ঘটনার আড়াল করতে,ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভিকটিমের পিতা গত ২৬জুলাই২০২০খ্রি:সংবাদ সম্মেলনের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গুইমারা থানায় যায়। ঐ সময় অফিসার ইনচার্জ আবেদনটি গ্রহন করে বাদীকে পরে আসতে বলে বিদায় করে দেয় ।তখন পুলিশের উপস্থিতিতে কুচক্রি মহলসহ পুলিশ বাদীকে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলে সম্মানের হানি করেছে বলে অভিযোগ বাদীর।
বাদী আবার থানায় গেলে পুলিশের সহযোগীতা সূলভ আচরন না করে,মামলার বাদিকে গভীর রাত পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখে এবং গভীর রাতের অজুহাত দেখিয়ে নতুন করে আবেদন লিখতে হবে বলে থানায় কর্মরত উপপুলিশ পরিদর্শক(এসআই)আল আমিন বাদীর নিকট থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।পরবর্তিতে কুচক্রি মহলের ইন্দনে পুলিশ মনগড়া নিজেদের ইচ্ছামত মালার এজাহার লিখে।এতে বাদীর লিখিত অভিযোগে অভিযুক্ত শাহেদা আক্তার ময়নাকে বাদ দিয়ে পুলিমের ইচ্ছামত অপর দুই জনকে আসামী করে।তারা হলেন সাগর চৌধুরী ও রনি পাল ।
বাদী খাগড়াছড়ি আদালত থেকে মামলার কপি সংগ্রহ করার পর বাদীর অভিযুক্ত ২নং আসামীর নাম বাদ দিয়ে অন্য দুইজনের নাম যোগ করা সহ ভুল তথ্যের বিষয়টি জানতে পারে।তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী মেমং মারমাকে মুঠোফোনে এবং সাংবাদিকদের অবহিত করেন।বুধবার২৯জুলাই গুইমারা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা ওসি মিজানুর রহমানের কাছে বাদীর দেওয়া ২ নং আসামী ময়নাকে বাদ দেওয়া এবং এজাহারে দুই ব্যাক্তিকে মামলার আসামি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তদন্ত করার পর সম্পৃক্তা না পেলে মামলা থেকে তারা অব্যাহতি পাবে এবং তদন্তে যাদের সম্পৃক্তা পাওয়া যাবে তারা মামলায় আসামি হবে।তদন্তের সার্থে সবকিছু বলা যাবে না।
অপরদিকে শিশুকন্যাটি দুচরিত্রা মায়ের কাজ থেকে উদ্ধার করে সরকারি হেফাজতে অথবা নিরাপত্তার সার্থে বাদীর হেফাজতে রাখার দাবী করেন বাদী জাহাঙ্গীর আলম।
শ্যাম প্রসাদ বনিক ও শাহিদা আক্তার ময়নাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।এলাকাবাসী আরো বলেন,এমন নিন্দনীয় কাজের উপযুক্ত শাস্তি না হলে সামাজিক অবক্ষয় আর ও বেড়ে যাবে ।তাই দৃষ্টন্ত মুলক শাস্তির দাবী জানান।
Attachments area