Type to search

মানবতা আজ পশুপ্রবৃত্তিকে ও হার মানিয়েছে/ আলমগীর হোসেন

আইন কানুন

মানবতা আজ পশুপ্রবৃত্তিকে ও হার মানিয়েছে/ আলমগীর হোসেন

২১শে আগষ্ট  আওয়ামী লীগের  জনসভায়  গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  প্রাপ্ত  আসামি, ইন্টারপোলের রেড নটিসধারী   হারিছ চৌধুরীর  মৃত্যু  রহস্য , ও ঢাকায়  দাফন  নিয়ে  দেশের  সাধারণ  মানুষের  মাঝে , সরকার  ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে মিশ্র  প্রতিক্রিয়া সৃৃষ্টি হয়েছে।  সবার  মনে  একটি  প্রশ্ন , সত্যি সত্যিই    হরিছ চৌধুরীমৃত?

বেশ কয়েক মাস ধরে  দেশের  বিভিন্ন স্হানে কিছু  ঘটনা  বা রটনা যাই বলি না কেন বাংলাদেশের  সাধারণ  মানুষের মধ্যে  একধরনের  মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারায় আমুল পরিবর্তন  পরিলক্ষিত হচ্ছে।  যা সমাজ জীবনে মানুষের,  মানসিক চিন্তা চেতনা ও  নৈতিক  অবক্ষয়  অত্যান্ত   নগ্ন ভাবে  ফুটে উঠেছে।  স্বীয় স্বার্থের  জন্য  মানুষের  কর্মকাণ্ড  পশুপ্রবৃত্তিকে ও হার মানায়। এমন কিছু ঘটনা মাঝে  মধ্যে  শুনতে  পাওয়া  যায়   যার  কোন  উত্তর  আমাদের  জানা  নাই।  যেমন সম্পত্তির  লোভে  নিজের  মেয়ের হাতে  বৃদ্ধ  মা খুন,  বাবার   জৈবিক  লালসার  শিকার  তার প্রতিবন্ধী  মেয়ে, বৃদ্ধ  মাকে বোঝা মনে করে বাঁশ বাগানে  ফেলে  দেবার  ঘটনায় আমরা  শিহরিত  হই। স্মার্টফোন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যানে মাঝে  মধ্যে  এমন কিছু  ঘটনা  জানা যায় ,  যে ঘটনা গুলো  শুধু  প্রশ্নের  জন্ম দেয়,  কিন্তু  এর কোন  উত্তর নাই। আগে  রক্ত সম্পৃক্ত  মা,বাবা, ভাই  বোন, নিকট  আত্মীয় স্বজনরা  ছিল  অতি  আপনজন। আর এখন    স্বার্থের জন্য  হয়েছে  জানের দুশমন।  মানুষের  মনুষ্যত্ব  ও  বিবেক বিবেচনা আজ  কফিনে  ঢাকা  পড়েছে। মানব কল্যানে আবিষ্কৃত স্মার্টফোন  ব্যবহারকারী  অনেক  ছেলে  মেয়ে  আজ বিপথগামী  ও মাদকাসক্ত।  বাবা মায়ের  অবাধ্য, ও বিপথগামী  এসব স্কুল পড়ুয়া  ছেলেমেয়েরা  বাবা মাকে  ও খুন করতে  দ্বীধাবোধ করে না। যার দৃষ্টান্ত  উদাহরণ  ঢাকায় এস,পি হত্যাকান্ড।   আবার  কিছু  কিছু  খবর   বাংলাদেশের  সাধারণ মানুষের মাঝে  শুধু  প্রশ্নের জন্ম দেয় ।  এবং  আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারকে  প্রশ্নের সম্মুখীন  হতে  হয়। যেমন  বি, এন, পি,  জামাত শাসনামলে  অত্যান্ত  প্রতাপশালী  নেতা ও  ২১শে আগষ্ট  আওয়ামী লীগের  জনসভায়  গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  প্রাপ্ত  আসামি, ইন্টারপোলের রেড নটিসধারী   হারিছ চৌধুরীর  মৃত্যু  রহস্য , ও ঢাকায়  দাফন  নিয়ে  দেশের  সাধারণ  মানুষের  মাঝে , সরকার  ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে মিশ্র  প্রতিক্রিয়া সৃৃষ্টি হয়েছে।  সবার  মনে  একটি  প্রশ্ন , সত্যি সত্যিই    হরিছ চৌধুরীমৃত?  নাকি লোক চক্ষুর আড়াল করতে   পরিকল্পিত  ভাাবে   এমন  গুজব ছড়ানো  হয়েছে।  আর যদিি সত্য  হয় তাহলে  দেশের  গোয়েন্দা সংস্থা সহ অন্যান্য বাহিনী  জানলো  না কেন?  এর উত্তর  কে  দিবে?

তাই  প্রশ্ন আছে কিন্তু উত্তর নাই।। আজ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ  নাই। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি অসহনীয় পর্যায়ে  নিয়ে  গেছে।  আন্তর্জাতিক  বাজারের  দোহাই দিয়ে  কিছু  অসাধু  ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট  পরিকল্পিত ভাবে  সরকার  তথা দেশকে  অস্থিতিশীল  পরিস্থিতিতে  ফেলে  দেবার চক্রান্তে জড়িত  নয় তো?  সরকারের   সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে  সরকার কে  প্রতিদ্বন্দির   আদালতে দাঁড়  করিয়েছে।  এরা কারা এদের  চিন্হিত করতে হবে।  এরা স্বাধীনতা বিরোধী  পাকিস্তানের  প্রেতাত্মা  নয় তো? স্বাধীনতার ৫০ বছর  পরও  এ প্রেতাত্মা দেশের   বিরুদ্ধে  দেশে  ও বিদেশে  বসে দেশ বিরোধী  কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছে।    এদের  বিরুদ্ধে  এখন ই   ব্যবস্হা শুধু  সময়ের  ব্যাপার। মুজিব  জন্ম শতবর্ষ    উদযাপনের   এই ঐতিহাসিক    দিবসে  এ হোক  আমাদের
প্রত্যায়।
লেখক: সংগীত শিল্পী ও সাংবাদিক