Type to search

মাটি ও মানুষকে রক্ষা করতে ভার্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) প্রকল্পে গ্রাম ঘুরছে রনি অভয়নগর

অভয়নগর কৃষি

মাটি ও মানুষকে রক্ষা করতে ভার্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) প্রকল্পে গ্রাম ঘুরছে রনি অভয়নগর

 

এইচ.এম. জুয়েল রানা : যশোরের অভয়নগর উপজেলার কাপাশহাটি গ্রামে ভার্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) প্রকল্পে সাফল্য পেয়েছেন স্থানীয় অনলাইনে ছাদ বাগানের অর্গানীক পন্য সামগ্রী বিক্রেতা কৃষক কাজী ইস্তিয়াক আহমেদ রণি। তার এ সাফল্যের পিছনে বড় কোন পুজি বা প্রযুক্তি নেই। সামান্য কেঁচো দিয়ে ২০০৭ সালে ভার্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) প্রকল্প শুরু করে ।
কৃষক কাজী ইস্তিয়াক আহমেদ রণি বলেন, কেঁচো এভাবে ভাগ্য বদলে দিতে পারে তা আমার জানা ছিল না। চাষ করেই ঝুঝতে পেরেছি, কেঁচো বা কেঁচো থেকে পাওয়া জৈব সার বিক্রি করে লাখ টাকা আয় করা যায়। প্রতিটি স্তরের কৃষক ও বেকার যুবকরা এ ধরনের প্রকল্পে নিজেদের নিয়োজিত করে ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের প্রভাব থেকে মাটি ও মানুষের রক্ষা করে, বেকারত্ব দূর করতে।NATP প্রকল্পের আওতায় ভার্মি কম্পোষ্ট প্রদর্শনি অর্ধ শতাধিক নারী ও পুরুষের বাড়ি বাড়ি উপ-সহকারি কৃষি অফিসার প্রসেন মন্ডল কে সাথে নিয়ে ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করেতে দারিদ্ররতা ঘুচাতে ও বেকারত্ব দূর করে সাফল্য অর্জন করতে পারে সে জন্য এ পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে সবাইকে উৎসাহিত করে চলেছে। চাঁপাতলা গ্রামের রওশনারা বেগম জানান আমি ৯টি রিং হাউজে ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করতাম কিন্তু বিক্রয় কেন্দ্র না থাকায় আমি আস্তে আস্তে বাদ দিতে যাচ্ছি তখন ইস্তিয়াক আহমেদ রণি বলেন পারলে আরো হাউজ বাড়ান আপনার যত ভার্মি কম্পোষ্ট আমাকে ফোন দিলে আমি এসে নিয়ে যাবো। রজ্ঞিনা বেগম ৩টি হাউজে ৪৫০টি কেঁচো দিয়ে ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরি শুরু করে এখন সবজি চাষে অধিক ফলন পাই এ ছাড়াও বিক্রয় করে হাঁস মুরগি পালনের থেকে অনেক আয় করে থাকে। উপ-সহকারি কৃষি অফিসার প্রসেন মন্ডল বলেন ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যাবহারে জমির উরর্বতা বৃদ্ধি ফলন বৃদ্ধিতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে সাথে সাথে পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় সহায়তা করে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানী বলেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি স্থানে বেকার যুবক-যুবতীরা কম বিনিয়োগে ইস্তিয়াক আহমেদের মত স্বাবলম্বী হতে পারেন। এই প্রকল্পে ঝুঁকি ও পরিশ্রম দু’টিই কম। সারাদেশে কেঁচো সারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিভিন্ন স্তরের কৃষকরা এই প্রকল্পে নিজেদের নিয়োগ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি আরও বলেন বলেন, কেঁচো জিবরাইলিক অ্যাসিড নামে এক ধরনের পদার্থ নিঃসরণ করে। গোবর ও পচনশীল উপাদানের সঙ্গে ওই অ্যাসিড মিশে গেলে ইউরিয়া, পটাশসহ বিভিন্ন রাসায়নিক সারের সব গুণাগুণ এক সঙ্গে পাওয়া যায়। এ জন্য জৈব কেঁচো সার ব্যবহার করলে আর অন্য কোন সার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। ভার্মি কম্পোষ্ট এর বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এলাকার কৃষকদের জমিতে অধিক পরিমাণে ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার ব্যবহার করার আহবান জানান। শুধু ফসলই নয় এই সার ঘের-পুকুরে ব্যবহার করলে মাছের উৎপাদন দ্বিগুন হয়।বর্তমানে ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ছাদ বাগানের সবজি চাষে ব্যবহার হচ্ছে কেঁচো সার।