Type to search

মরা গাছের ঝুঁকিতে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

অভয়নগর

মরা গাছের ঝুঁকিতে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

শেখ আতিয়ার রহমান, নওয়াপাড়া অফিস প্রধান
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের পাকা সড়কের পাশে একটি মরা রেইট্রি গাছের নিচদিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রোগী পরিবহন সহ সাধারণ যানবাহন। যে কনো সময় ডাল ভেঙে বা গাছ উপড়ে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সরজমিনে দেখা যায়,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান গেট এর পাশে হাসপাতালের সিমানা প্রাচিরের ভেতরে সড়কের পাশে বড় রেইনট্রি গাছ মরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। গাছের মরা ডাল সড়কের মাঝ বরাবর হেলে পড়েছে।
এ সড়কে নিয়মিত যাত্রী নিয়ে যাওয়া আসা করেন ইজিবাইক চালক হান্নান বলেন, ‘এই পথে দিয়ে নিয়মিত যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসা করি অনেক সময় এই মরা গাছের ডাল ইজিবাইকের সামনে ভেঙ্গে পড়তে দেখেছি। আমরা আতঙ্কে থাকি গাড়ির চালায়।

স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, একটু বাতাস হলেই ডাল ভেঙ্গে পরে সড়কের উপর। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলছে। এই গাছটি অপসারণ করা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানিয়েছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওহায়িদুজ্জামান খাঁন বলেন, সরকারি গাছ টাকতে হলে বন বিভাগের অনুমোতি প্রয়োজন হয়। গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ উলেক্ষ করে উপজেলা বন বিভাগ কে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্ত তদের কাছ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায় নাই।

এবিষয়ে উপজেলা বন কর্মকতা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এমন কোন চিঠি আমাদের হাতে আসেনি।

যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, যতো গাছ হচ্ছে তা সবই বন বিভাগের, সরকারি জায়গায় যেই গাছ লাগাক তার সবই বন বিভাগের। বন বিভাগের একটি কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে গাছের টেন্ডার থেকে শুরু করে সকল কাজ তারাই করে থাকে। তবে বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম তাই মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দুরুত্ব ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে বলবো।