মণিরামপুরে ব্যস্ততম সড়কে যত্রতত্র মালামাল লোড-আনলোডে জনভোগান্তি চরমে ॥
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের মণিরামপুর পৌর শহরে ব্যস্ত সড়কে তত্রতত্র মালামাল লোড-আনলোড (উঠানো-নামানো) করায় পথচারীসহ এলাকবাসি চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটানা। এছাড়া নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ, পরিবহন ও সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে। আবাসিক ভবনের নিচে মজুদ করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। নেই ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্স ও ছাড়পত্রসহ এক্সস্টিংগুইশার, মজুদ এবং ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষনাগার নেই। বিশেষজ্ঞ ও সচেতন নাগরিকদের দাবি, সড়কে মালামাল লোড-আনলোড ও নিরাপদে গ্রাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, পৌরশহরের দোলখোলা রোড, রাজগঞ্জ রোড, কুলটিয়া রোড, মুরগীহাটা জামে মসজিদ রোড, থানা মোড়ে প্রতিনিয়ত ট্রাকভর্তি বড় ড্রাম, মাছ, নির্মাণসামগ্রি লোড-আনলোড করা হচ্ছে।
দোলখোলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা বাবুলাল চৌধূরী ক্ষোভের সাথে বলেন, প্রতিনিয়ত সড়কে লোড-আনলোড করায় জনসাধারনের চলাচলে চরম ভোগান্তি পড়তে হয়। নিরসনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। গ্যাসসিলিন্ডার বিধিমালা ১৯৯১’তে বলা হয়েছে- ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্স ও ছাড়পত্রসহ এক্সস্টিংগুইশার, মজুত এবং ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। সিলিন্ডার আমদানি বিষয়ে বিধির তৃতীয় পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে-কোন ব্যক্তি বিনা লাইসেন্সে গ্যাসপূর্ণ বা খালি সিলিন্ডার আমদানি করতে পারবে না। অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না বলে অভিযোগ।
মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারসহ দাহ্য পদার্থের জন্য ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স ও এক্সস্টিংগুইশার থাকা অবশ্যই বাধ্যতামূলক।
ি