মণিরামপুরে নকল ট্যাং কারখানায় অভিযান’ ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড

এইচ এম জুয়েল রানা স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রয়োজনীয় ল্যাব-উপাদান ছাড়াই তৈরি হচ্ছে মানহীন সফট ড্রিংকস পাউডার (ব্র্যান্ড : টেংগী)। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স গ্রহণ না করে ও গুণগতমান যাচাই না করে অবৈধভাবে বিএসটিআইয়ের নকল স্টিকার ব্যবহার করে ইচ্ছেমতো মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বসিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে এ খাদ্যপণ্যটি।
ঘনচিনির সাথে কাপড়ের রঙ ও রাসায়নিক (স্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক) উপাদান মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে সফট্ ড্রিংকস পাউডার।বিএসটিআইয়ের নকল স্টিকার ব্যবহার করে বাজারজাত করার অপরাধে দুইজনকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ কারখানায় থাকা ৯৭০ কেজি সফট ড্রিংকস পাউডার বিনষ্ট করে ভ্রামন্যমান আদালত।
বুধবার(১মার্চ) সকালে মণিরামপুর উপজেলার মথুরাপুর এলাকায় (ব্র্যান্ড : টেংগী) সফট্ ড্রিংকস কারখানায় সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘন চিনির সঙ্গে কাপড় তৈরীর রং, স্যাকারিন ও সাইট্রিক এ্যাসিডের সংমিশ্রনে কোন রসায়নবিদ, পুষ্টিবিদ ছাড়াই সাধারণ কর্মচারীরা ময়লা হাতে তৈরী (টেংগী) নামক নকল সফট ড্রিংকস পাউডার তৈরি করে অবৈধভাবে বিএসটিআইয়ের নকল স্টিকার ব্যবহার করার অপরাধে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন ২০১৮ আইনে উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের ছুরমান চৌধুরীর ছেলে আনোয়ার ও আব্দুল হকের ছেলে রুহুল কুদ্দুস কে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বিএসটিআই ও মণিরামপুর থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান জানান, রমজানে ট্যাং পানীয় শরবতের চাহিদা অনেক বেড়ে যায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুনাফালোভী কিছু অসাধু ব্যবসায়ি নকল ট্যাং পাউডার তৈরির কারখানা স্থাপন করে। অভিযানে নকল ট্যাং তৈরি ও অবৈধভাবে বিএসটিআইয়ের নকল স্টিকার ব্যবহার করার অপরাধে দুইজনকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কারখানায় থাকা ৯৭০ কেজি সফট ড্রিংকস পাউডার জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়।