মণিরামপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
জি, এম ফারুক আলম, মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে চুমকি দত্ত (২৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ^াসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে মামলায় গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চুমকি মণিরামপুর পৌরশহরের তরুন চন্দ্রের মেয়ে এবং পৌরসভার হাকোবা ব্রিজসংলগ্ন এলাকার মৃত্যুঞ্জয় দত্তের স্ত্রী।
পরিবারের স্বজনরা জানায়, নয় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ওই দম্পত্তির চার বছর বয়সী নিহারিকা দত্ত নামে এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে রোববার সন্ধ্যায় মৃত্যুঞ্জয় চুমকিকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে গলা টিপে ধরে তার মাথা দেওয়ালের সাথে আঘাত করে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে বালিশ চাপা দেওয়া হয়েছে। পরে তারা বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচার দেয় বলে নিহত গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ।
লাশের গলায় ডানপাশে বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ রয়েছে। এছাড়া মারপিটের বিষয়টি শিশু নেহা পুলিশকে জানিয়েছে। তবে মৃত্যুঞ্জয়ের ছোট ভাই আকাশ দত্তের দাবি, রোববার দুপুরে মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে চুমকির ঝগড়া হয়। পরে রাতের খাবার সেরে চুমকি নিজের ঘরে ঘুমাতে যায়। আর মৃত্যুঞ্জয় অন্য ঘরে ঘুমায়। এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে চুমকিকে ঝুলে থাকতে দেখেন তারা। দ্রæত তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সুমন নাগ চুমকিকে মৃত ঘোষণা করেন। ডাঃ সুমন নাগ জানান, চুমকিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গিয়েছিল। ওই গৃহবধূর গলায় দাগ রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় স্বামীসহ তিনজনকে আসামীকে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বাকীদের নাম প্রকাশ করতে অনিহা প্রকাশ করেন থানার ওসি (তদন্ত) সিকদার মতিয়ার রহমান। থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত গৃহবধূর স্বামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে নিহত গৃহবধূর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।