Type to search

ভুলে ভরা প্রশ্নপত্র!

শিক্ষা

ভুলে ভরা প্রশ্নপত্র!

সারাদেশে চলছে ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। গেল বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রশ্নপত্রে অনেক বানান ভুল পাওয়া গেছে।। ভুলে ভরা এ প্রশ্নেই ওই দিন ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে।

এবার ৪ নম্বর সেটের প্রশ্নে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে দেখা গেছে, প্যারালিম্পিক বানানকে ‘প্যরালিম্পিক’, পাড়া-প্রতিবেশীকে ‘পাড়াপ্রতিবেশী’, বন্ধু-বান্ধবের বানান ‘বন্ধুবান্ধবের’, সংক্রমণকে ‘সংক্রামন’; রবে না বানান ‘রবেনা’, রেজাল্ট হাতে বানানকে ‘রেজালট হতে’, কম বানান ‘মম’, ফ্যান্টাস্টিক বানান ‘ফ্যাণ্টাস্টিক’, হান্ড্রেড বানানকে ‘হানড্রেট’, মতো বানানকে ‘মতে’, অঙ্গ বানানকে অংঙ্গ, লাগে না বানান ‘লাগেনা’, সন্ধ্যা বানান ‘সন্ধা’, মহব্বত বানান ‘মহববত’, জানতাম না বানান ‘জানতামনা’ এবং কাকতাড়ূয়া বানান ‘কাকতাড়ূয়া’ লেখা হয়েছে। এর বাইরে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লালসালু উপন্যাসের ক্ষেত্রে ঔপন্যাসিকের নাম ওয়ালী উল্লাহ এবং উপন্যাসের নাম লাল সালু লেখা হয়েছে। এর বাইরেও রয়েছে আরও বেশ কিছু ভুল। প্রশ্নের উদ্দীপকে আক্কাস আলীর নাম একবার ‘আলি’ লিখে পরের লাইনেই আবার ‘আলী’ লেখা হয়েছে।

রাজধানীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক বাংলা শিক্ষক বলেন, যত্ন নিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র প্রণেতাদের চরম গাফিলতি ছিল। এমনকি মডারেশনের সময়ও এসব ভুল ধরা পড়ার কথা। এ ক্ষেত্রে যারা মডারেশন করেছেন তারাও একইভাবে গাফিলতি করেছেন। তারা বলেন, গত বছরও বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। কারও কোনো শাস্তির উদাহরণ না থাকায় বছরের পর বছর ভুলে ভরা প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর তালিকাভুক্ত মুখচেনা কিছু শিক্ষকই সব সময় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশন করার দায়িত্ব পান। ভুল করার পরও তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি প্রথম পত্রের নৈর্ব্যক্তিক অংশে সরাসরি একটি গাইড বই থেকে দুটি প্রশ্ন তুলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *