Type to search

ভবদহে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজায় আড়ম্বর হচ্ছে না

অন্যান্য

ভবদহে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজায় আড়ম্বর হচ্ছে না

  • নওয়াপাড়া অফিস
    অভয়নগরে ভবদহ এলাকার চারটি ইউনিয়নে এবছর ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। প্রায় এক মাস যাবৎ এলাকা পানিবন্দি। আগামী কাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উপাসনা দুর্গাপূজা। ধর্মীয় কারনে এ পূজা পালন করতে হবে তাই এলাকাবাসী দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি স্বরুপ এ পূজা পালন করবেন।
    পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বছর অতিবৃষ্টির কারনে অভয়নগর উপজেলার ২৫ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ভবদহ অঞ্চলে মানুষের এই উৎসবের আনন্দ অনেকটাই ¤øান। তাদের বসতবাড়ি, ঘেরভেড়ী, ফসলি ক্ষেত, স্কুল কলেজ মাদ্রসা ও মসজিদ মন্দিও ডুবে গেছে। এর মধ্যে উৎসব মুখর ভাবে পূজা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে শতশত পরিবার। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয় রোজগারের সকল পথ।
    আগামী ২ অক্টোবর মহলয়ার মধ্য দিয়ে পুজার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে এবং ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হবে। তবে এ উপলক্ষে উৎসবের কোন আমেজ নেই ভবদহ অঞ্চলের প্রেমবাগ, সুন্দলী, পায়রা ও চলিশিয়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের মনে। চারিদিকে কেবল অথৈ পানি ও সীমাহীন দুর্ভোগে উৎসবের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। দু’মুঠো ভাত জোগাড় যেখানে চরম আরধ্য; উৎসব সেখানে বিলাসীতা বলে জানিয়েছেন পানিবন্দি এলাকার মানুষ।
    উপজেলা পরিষদের তথ্য মতে, অভয়নগরে অর্ধশতাধীক মন্দির পানিতে তলিয়ে গেছে। পুজা অর্চনার নূন্যতম অবস্থা নেই ৩৫টি মন্দিরে। তাছাড়া পানির কারণে সুন্দলী ইউনিয়নের ৪টি ও আন্ধা গ্রামের একটি মন্দিরে কোন প্রকার পুজা হবেনা। উপজেলায় এ বছর ১১৪টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা পূজা উদযাপন হবে।
    উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিহাটি গ্রামের বাসিন্দা টুকু মজুমদার বলেন, গত এক মাস ধরে সংসারে আয় রোজগার বন্ধ। মাছ ধরে তা বিক্রি করে কোনমতে জীবন বাঁচিয়ে রেখেছি। পুজো উৎসব আমাদের মত গরীব মানুষের জন্য না।
    উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বলারাবাদ গ্রামের বাসিন্দা উশা রাণী বলেন, আমাদের কোন পুজো নেই। পুজোর সময় ছেলে মেয়েদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে পারছি না। পানিও সরছে না। আমাদের কষ্ট দেখার আসলে কেউ নেই।
    এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, প্রতি বছর সরকারি যে বাজেট থাকে দুর্গাপূজার জন্য তা ইতিমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া যারা একান্ত অসহায় তারা যদি কোন প্রকার সাহায্যের জন্য আবেদন করে আমরা তাদেরকে সহায়তা করবো।