Type to search

বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হলো যুগ্নিপাশা গ্রামের রিয়া

খুলনা

বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হলো যুগ্নিপাশা গ্রামের রিয়া

গত ১২ জানুয়ারি ২০২২ ইং রোজ বুধবার আনুমানিক সকাল ১০:০০ ঘটিকায় মেয়েটি রাজঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়।

সৈয়দ আরাফাত হোসেন তাজ ,ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি:

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার যুগ্নিপাশা গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার মোল্লা এর ১৬ বছরের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু আজমিরা খাতুন রিয়া। গত ১২ জানুয়ারি ২০২২ ইং রোজ বুধবার আনুমানিক সকাল ১০:০০ ঘটিকায় মেয়েটি রাজঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েটির পিতা অপরাজেয় বাংলা ডটকম প্রতিনিধিকে জানাই, আমার মেয়ে গত বুধবার সকাল ৯:০০ ঘটিকায় প্রতিদিনের ন্যায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিয়ে সকালের খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময় পার হবার পরও সে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে।  তখন থেকে সবাই তাকে খোজা শুরু করে। কখনও তার বন্ধু বান্ধবীদের বাসায় আবার কখনও আত্মীয়স্বজনদের বাসায়। এভাবে তাকে খুজতে থাকা হয়। এমতাবস্থায় সন্ধা ৬টার সময় আমার ফোনে ১টি অপরিচিত নম্বর (০১৮৭৫-৬৭৩১৬০) থেকে ফোন আসে। ফোনে শুধুমাত্র বলা হয় আমি সজিব বলছি। রিয়াকে আমি রাজশাহীতে নিয়ে আসছি। এতটুকু বলে ফোন কেটে দেয়। তারপর ও-ই নম্বরে ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ দেখায়। এক পর্যায়ে আমি ও আমার পরিবারের সবাই ফুলতলা থানায় যায় এবং কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার কাজী মফিজুর রহমান এর মাধ্যমে একটি সাধারণ ডায়েরি করি (জিডি নং. : ৬২০)। তাৎক্ষণিকভাবে ফুলতলা থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইলিয়াস তালুকদার ফুলতলা থানায় কর্মরত এস আই (নিরস্ত্র) অমিতাভ সন্ন্যাসীকে বিষয়টি তদন্ত ও খতিয়ে দেখার এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করার দায়িত্ব দেন। বৃহস্পতিবার সকালে থানায় আবার খোঁজ নিলে পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বিষয়টি দেখতেছি বলে আমাদের বাড়িতে চলে যেতে বলে। এভাবে আমরা নিজেরা খুঁজাখুঁজি করতে করতে জানতে পারি সজিব আলী, পিতাঃ মোঃ মাঈনুল ইসলাম, মাতাঃ আঙ্গুরা বেগম, গ্রামঃ হুজুরিপাড়া, পোষ্টঃ দারুশা,থানাঃ পবা, জেলাঃ রাজশাহী (01875673160) নামক ছেলেটি আমার সহধর্মিনীর বোনের ভাসুরের ছেলে ফয়সালের বন্ধু। উল্লেখ্য যে ফয়সাল আমার বাসায় ৪ বছর আগে হজ্ব সংক্রান্ত কাজে প্রায় ৬ মাস থেকেছিল। বর্তমানে সে কিছুদিন আগে তার বন্ধু সজিব ইয়াবাসহ ডিবির কাছে ধরা পড়ে। একপর্যায়ে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। ফয়সাল চাকরিরত থাকাকালিন সময়ে আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠায় সে আমার বোন আজমিরা খাতুন রিয়াকে বিয়ে করবে। কিন্তু তার প্রস্তার আমরা ফিরিয়ে দিই। যেহেতু ফয়সালের আগে দুইটা বিয়ে এবং একটি বাচ্চা আছে। আবার কিছুদিন আগে প্রস্তাব আসে ফয়সালের বন্ধু হোটেলে চাকরি করে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পায়। তার বন্ধু সজীবের সঙ্গে আমার মেয়েকে বিয়ের আবারও প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু আমরা তাও এড়িয়ে যায়। সবশেষে পরিবারের পক্ষ থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার পর, জানা যায় ফয়সালের বন্ধুর কাছে আমার বোন আছে। সজীবের বাড়িতে যে পিতা-মাতার সাথে কথা বলেও তাদের দুজনের সন্ধান মেলেনি। আসলে এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারলাম না সে কোথায় আছে কিভাবে আছে? বেঁচে আছে না মরে গেছে। আমিও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে বলতে চাই আমার মেয়েকে যত দ্রুত সম্ভব এই সজীব নামক মাদক আসক্ত ও সন্ত্রাসী ছেলেটির কাছ থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।