Type to search

প্রাণ সঞ্চারী/৭ বিলাল মাহিনী 

সাহিত্য

প্রাণ সঞ্চারী/৭ বিলাল মাহিনী 

প্রাণ সঞ্চারী

বিলাল মাহিনী

 

পাথরে বোঝে পাথরের আর্তনাদ

জীবন বোঝে জীবনের ফরিয়াদ

মস্তিষ্কের নহর বেয়ে ছোপ ছোপ রক্ত ঝরে

মাতাল বায়ুর দেশে!

 

তোমার পোশাকে চালবাজি

কথায় চাপাবাজি

তবুও কোন সে সুরে নির্বাক চেয়ে রয় মন

বেহায়া ধরণীর অগোছালো নৃত্য মঞ্চে

কুড়িয়ে পাওয়া রুমালের মতো-

আঁশটে, বিবর্ণ, রঙচটা নামগন্ধহীন পুষ্প তুমি

তোমার পাদপৃষ্ঠে দলিত-মথিত আমার সারাদেহের পশম

 

অক্ষিকে বলেছি কেঁদো না

যে রঙে আগুন জ্বলে, তাকে জ্বলতে দাও

যে কষ্ট পুষে, তাকে পুষতে দাও

ধুলোমলিন অজস্র বেদনার বুদবুদ জীবনের কবিতায় ঠাঁই নেয়,

ঠাঁই হয় না প্রিয় ভালোবাসার, পরাণ পাখিটার!

 

কোন এক শৈতালি চাঁদ নিশিথে

কুয়াশার ঘোমটা টানা প্রত্যুষে, চুপিসারে—

শুভ্র মেঘের নিষ্পাপ গতর ছুঁয়ে

ঝরা শিউলীর মখমলে আতকে উঠবে প্রাণ,

এমন ভবনা আর কল্পিত উষ্ণতা হৃদয় ভিজিয়ে দেয়।

 

অলৌকিক বিষ্ময়ে থেমে যাবে সব শিহরণ,

শিরার স্পন্দন, আন্দোলিত হয় নার্ভ

তুমি গদখালি যাও, শতপুষ্প কুড়ানোর লাগি

আর আমি–

দু’ফোটা চোখের জল ফেলি, অতীত জীবনের খোঁজে

আমাকে সুখের সাগরে ভাসাও, প্রাণসঞ্চারিও, সোনাপাখি!

Next Up