মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে ঢাকা এসেছিলেন বিয়ে বাজার করতে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখিরত ঢাকায় প্রাণ যায় ভাষার জন্য। সামনে বিয়ে। হবু বউয়ের জন্য শাড়ি, গহনা, আলতা, স্নো নিতে এসেছিলেন শহরে। বাড়ি ফিরেই বসবেন বরের বেশে।
শহরে এসে শুনেন মা বলে আর ডাকা যাবে না, রক্তে শিহরণ জাগে রফিকের। মায়ের মুখের ভাষা কেড়ে নিবে এরা কারা?
মা, হবু বউ আর সবার অপেক্ষা, উপেক্ষা করে রফিক চললেন মিছিলে। ৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ধরেন স্লোগান। পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত গুলি বর্ষণ। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কত যুবক। মাথায় গুলি লাগে রফিকের। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মস্তক।
বাংলা ভাষার মর্যাদার লড়াইয়ে প্রাণ হারান বিয়ের বাজার করতে আসা রফিক উদ্দীন। তার মরদেহও নিতে দেয়নি পাকিদস্যুরা, কবর দিয়ে দেয় ঢাকায়। বায়ান্নতে ভাষার জন্য জীবন দিয়ে ২০০০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক পান রফিক।
সূত্র, DBC বাংলা