Type to search

পিকনিকের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৭ জন নিহত

জাতীয়

পিকনিকের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৭ জন নিহত

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স-ফেনীতে কক্সবাজারগামী একটি পিকনিকের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন যাত্রী।

বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে তাৎক্ষনিক দু’জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান খান জানান, ঢাকার মিরপুর থেকে পিকনিকের উদ্দেশে কক্সবাজার যাচ্ছিল ‘প্রাইম প্লাস’ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭৫৭৮)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া অংশে পৌঁছলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমডে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ৬ জন বাসযাত্রী নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ২১ জনকে উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের নায়েক মাইদুল হক জানান, ঘটনাস্থলে ৬ জন মারা যায়। আহতদের মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার পর শাহাদাত হোসেন নামে আরও একজন নিহত হন। নিহত বাসযাত্রী শাহাদাত ফেনীর ছাগলনাইয়ার বাসিন্দা। নিহত অপর ৬ জনের মধ্যে ঢাকার বিক্রমপুরের সুজন মিয়া নামে একজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। নিহত ৭ জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, আহতের মধ্যে ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকার মিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ও পিকনিকের উদ্যোক্তা পাপ্পু জানান, ঈদের ছুটি উপলক্ষ্যে মিরপুরের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে কক্সবাজার ও বান্দরবান যাওয়ার আয়োজন করে। সে অনুযায়ী চাঁদা সংগ্রহ শেষে বুধবার রাত ২টার দিকে মিরপুর থেকে দু’টি বাস কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এদের মধ্যে একটি বাস ফেনীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে অন্য বাসটি কক্সবাজার পৌঁছে যায়।
আহতদের মধ্যে রুমা আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, মিরপুর থেকে রাত ২টার দিকে বাসটি রওনা দেয়। ভোরে মহাসড়কের কোন একটি রেস্তোরাঁয় বাসটি থামলে সবাই নাস্তা করেন। পরে সব যাত্রী বাসে ওঠে ঘুমিয়ে পড়লে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।