পাটকেলঘাটা সহ তালা উপজেলায় গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারী মালিকরা দিশেহারা
![](https://aparajeyobangla.com/wp-content/uploads/2023/02/Capture-57-769x394.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি\
গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় পাটকেলঘাটা সহ তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের গরুর খামারী মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। একদিকে খাদ্যের দাম অতিরিক্ত অপরদিকে দুধের নি¤œ দাম। খামারীদের প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে পাটকেলঘাটা রাজেন্দ্রপুর, চোমরখালী, খলিষখালী, এনায়েতপুর, সরুলিয়া, কাশিপুর, কুমিরা, টিকারামপুর, ফলেয়া সহ প্রতিটি গ্রামে কম বেশি গাভি গরু পালন করে থাকে। দুধ সহ বাচ্চা পাওয়ার আশায় বছরের পর বছর সব কিছু কিনে খাওয়ায়ে লাভ তো দুরের কথা লোকশানের ভাব বেশি। এভাবে খামার মালিকরা খাদ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। খাল বিলে নেই কোনো কাঁচা ঘাস। এদিকে গরুর দুধ থেকে শিশুদের পুষ্টি যোগায়। তাছাড়া মিষ্টি, সন্দেশ সবকিছু দুধ থেকে তৈরী হয়। এ বিষয়ে তালা ডাঙ্গা নলতা গ্রামের গাভী গরু পালনকারী শেখ হযরত আলীর পুত্র ইছানুর বলেন দীর্ঘদিন ধরে গাভী গরু পালন করে আমার লছ হয়ে যাচ্ছে। আমার ৭টি গাভী গরু প্রতিদিন যে হারে দুধ দেয় তাতে আমার খরচ উঠে না। প্রতি কেজি দুধের মূল্য পাচ্ছি মাত্র ৩৫ টাকা। কিন্তু ১কেজি ভুষি কিনতে হচ্ছে ৩৬ টাকা, খৈল ৫৬ টাকা, কুড়ো ১৫ টাকা, খুদ ৩৮ টাকা, বিচুলি প্রতি হাজার ৫-৬ হাজার টাকা দরে কিনে খাওয়ায়ে গরু পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ইছানুর আরও বলেন ৭টা গাভী গরুর খাদ্য যোগাতে খরচ হয় প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা। এদিকে যে হারে দুধ যোগান দেয় তাতে ১০ হাজার টাকা ওঠে না। যদি সরকার আমাদের মত গরু পালনকারীদের কোন সাহায্য সহযোগিতা বা সুদ বিহীন ঋণের ব্যবস্থা করত তাহলে একদিকে আমরাও সফলতা অর্জন করতে পারতাম অন্যদিকে দেশেরও উন্নয়ন ঘটত। এদিকে খলিষখালী ইউনিয়নের আবু বক্কার সরদার জানান গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু পালন করা অনেক ব্যয়বহুল হচ্ছে। ধানদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি জানান দীর্ঘদিন যাবত আমি গরু পালন করে থাকি। সরকারী সাহায্য হলে গরু পালন করে অনেক লাভবান হতে পারতাম। এ ব্যাপারে তালা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সন্তোষ কুমারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান সরকারী কোন সাহায্য এ ব্যাপারে নাই। সরকারী কোন প্রকার সাহায্য দিলে জনগনের মাঝে বিতরণ করা হবে।