নড়াইলে গৃহবধু মনিরা আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলার, প্রধান আসামি আকিদুর ও শওকত মোল্যাকে গ্রেফতারে পুলিশের টালবাহানা
মির্জা মাহামুদ, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ মির্জা মাহামুদ রন্টু নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় মনিরা বেগম আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলার প্রধান আসামি আকিদুর শেখ ও শওকত মোল্যাকে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ গ্রেফতার করছে না মর্মে অভিযোগ উঠেছে। মামলা দায়েরের দু’মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের উত্তর লংকারচর গ্রামের মনি শেখের ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার আকিদুর শেখ দুবাই প্রবাসী মো. লোকমান বিশ্বাস ওরফে আসমানের স্ত্রী মনিরা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে বলে গুঞ্জন ছিল। আকিদুর তার পরকীয়া প্রেমিকা মনিরার নগ্ন ছবি তুলে ব্লাক মেইলও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১০লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। টাকা হাতিয়ে নিয়ে সে ক্ষান্ত হয়নি। তার কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য নিয়ে ২৯ জানুয়ারি গভীর রাতে আকিদুর তার দু’সহযোগীকে নিয়ে গৃহবধূ মনিরার ঘরে প্রবেশ করে জোর পূর্বক অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। মনিরা এতে বাঁধা দিলে আকিদুর ও তার দু’সহযোগী মহিনুর ও শওকত মোল্যা মিলে ওই গৃহবধূকে বেদম মারপিট করে। গৃহবধূ মনিরার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে লম্পট আকিদুর ও তার দু’সহযোগী দু’টি মোবাইল ফোন ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গ্রাম্য ডাক্তার আকিদুর ও তার দু’সহযোগীর অনৈতিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে অপমানে লোকলজ্জার ভয়ে গৃহবধূ মনিরা ওই ঘটনার পরদিন ১মার্চ সকালে বিষ পানে আত্মহত্যা করে। নিহত গৃহবধূ মনিরার স্বামী লোকমান বিশ্বাস ওরফে আসমান বিদেশ থেকে ঘটনা শুনে দেশের বাড়ি চলে আসে। তিনি বাদী হয়ে গত ২৮জুন তিন জনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করে। তখন এজাহার নামীয় দু’নম্বর আসামি মহিনুরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মামলা দায়েরের দু’মাস অতিবাহিত হলেও মামলার প্রধান আসামি আকিদুর ও শওকত মোল্যাকে গ্রেফতারে পুলিশ রহস্য জনক কারণে নানা টাল বাহানা করছে। তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। অপরদিকে, বাদীকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। মামলার ওই দুই আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য বাদী ও নিহতের স্বজনরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।