নেত্রকোনায় তেলিগাতী বি,এন,এইচ, কে একাডেমীর এসএসসি ২০০৩ ব্যাচের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঈদ পূর্ণমিলনী

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী বি,এন,এইচ,কে একাডেমীর এসএসসি ২০০৩ সালের ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীদের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“শেকড়ের টানে প্রিয় প্রাঙ্গণে, এসো মিলি প্রাণের বন্ধনে” স্লোগানকে ধারণ করে ২৩ এপ্রিল (রবিবার) এসএসসি ২০০৩ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দিনব্যাপী ঈদ পূর্ণমিলনী ও ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হয়।
ঈদের পরের দিন সকালে সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে স্কুল প্রাঙ্গণ। নেত্রকোনা জেলার ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের ওই ব্যাচের পূর্নমিলনী উৎসবে সাবেক শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছিলেন আনন্দে, যেন খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেদের ফেলে আসা স্মৃতি বিজরিত শৈশব।
সকাল ১০টায় লোগো সম্বলিত টি শার্ট,মগ এবং পাটের ব্যাগ বিতরনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রাথমিক পর্ব শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা একটি বর্ণাঢ্য র্যালি করেন যা তেলিগাতী সরকারী কলেজ গেট হয়ে আবার স্কুলে ফেরত আসে।
এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইকবাল নূর লাবলু কেক কেটে অনুষ্ঠানের মূল পর্বের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিব উল্লাহ হাবিব ও গীতাপাঠ করেন মালা ভদ্র এর মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এই ব্যাচের শিক্ষার্থী আজাদ হোসেন। এর মধ্যে স্কুলের প্রয়াত সকল সম্মানিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মধ্যাহ্নভোজের পর শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন এবং ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ২০ বছর পর একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন এবং ফেলে আসা ২০ বছরের বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন।
সাংবাদিক/ প্রতিবেদকের সাথে আলাপচারিতায় ২০০৩ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন আমরা সবাই খুব আবেগ আল্পুত, আমরা ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রজতজয়ন্তী উদযাপন করব।
সেই অনুষ্ঠানে স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকদের আসন সাজানো থাকবে এবং শিক্ষকদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হবে। এই অনুষ্ঠানে ব্যাচের শিক্ষার্থী মাজারুল ইসলাম এবং এনামুল এর স্ত্রী উপস্থিত হয়েছিল সাময়িক সময়ের জন্য। তাদের উপস্তিতির কথা শুনে আরেক কাপল আকলিমা আক্তার সুবর্না ও জহিরুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যতে আরও জাঁকজমক ও আরাম্ভরপূর্ন অনুষ্ঠান করতে হলে সব কাপলদের উপস্তিতির প্রয়োজন।
রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থীদের কাপল মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকবে এবং তাদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। এই অনুষ্ঠানে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও পারিবারিক সমস্যার জন্য তা আর সম্ভব হয়নি তবে সহযোগিতা যতটুকু সম্ভব করেছি।
আগামী অনুষ্ঠান আরো সুন্দর ভাবে সাজানো ও গোছানোভাবে করব বলে আশা করছি। আরেক শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন কে নিয়ে শিক্ষার্থীরা হুইহুল্লোর আনন্দে মেতে ছিলেন ব্যাচমেটদের মধ্যে তিনি একমাত্র অবিবাহিত। ব্যাচের দুই শিক্ষার্থী রাজিব পন্ডিত ও চপলমনি খানম আমেরিকা প্রবাসী তারাও ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীতে কর্মরত আরেক শিক্ষার্থী জুয়েল রানা রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছিলেন অনুষ্ঠানে আসার জন্য কিন্তু তিনি হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় না আসার আক্ষেপ প্রকাশ করলেন এবং ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করে সবার কাছে দোয়া চাইলেন। উক্ত অনুষ্ঠানটির ব্যাচের শিক্ষার্থী স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহব্বায়ক সোহেল রানা এবং সদস্য সচিব মাজারুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করেন।