দারিদ্র্যতাকে জয় করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অদম্য মেধাবী ইমার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কি অর্থাভাবে থেমে যাবে?

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে।
দারিদ্র্যতা বাধা হতে পারেনি অদম্য মেধাবী ইমামা ইসলাম ইমার সফলতার পথে। তাই তো সে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫, এবং এসএসসি ও এইচএসসিতেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। স্বপ্ন পূরণে সে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়াছে। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তবে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কি এখানে থেমে যাবে অর্থাভাবে। তার পিতা মাতা জানিয়েছেন, সাহায্য সহোযোগিতায় ছাড়া তার পক্ষে ইমার মেডিকেলে ভর্তি সহ পড়ার খরচ চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় দরিদ্র পিতা মাতা মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ইমামা ইসলাম ইমা যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বায়সা গ্রামের দোকান শ্রমিক হত দরিদ্র রফিকুল ইসলাম মায়ার মেয়ে। তারা ৭ বোন আর এক ভাই। ভাইবোনের মধ্যে ইমামা ইসলাম ইমা সকলের বড়। ছোটবেলা থেকেই ইমা লেখাপাড়ায় খুব ভালো ছিল। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫, এবং এসএসসি ও এইচএসসিতেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায় ইমা। ইমার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। তাই সে স্বপ্ন পুরনে এ বছর খুলনা সরকারি মডেল কলেজ কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এদিকে অর্থের অভাবে মেয়েকে মেডিকেলে ভর্তি করা নিয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছেন হত দরিদ্র রফিকুল ইসলাম মায়া। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমার সাত মেয়ে ও এক ছেলে। খুব দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিয়ে আমার মেয়ে বড় হয়েছে। কখনো খাবার জুটেছে, কখনো জোটেনি। আমি কেশবপুর পৌর শহরের উপজেলা মোড়ে চায়না মেশিনারিজ দোকানে শ্রমিকের কাজ করি। অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যেও বহু কষ্টের মধ্যেও সন্তানের পড়ালেখার উৎসাহ দিয়েছি। আমার মাথাগোজার ঠাই হিসেবে একটি টিনসেটের জারাজীর্ণ বাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই।
তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে আমার মেয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। কিন্তু তাকে ভর্তি করার মতো টাকা-পয়সা আমাদের নেই। আমি চিন্তা করে কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না, কীভাবে মেয়েকে ভর্তি করাব? কীভাবে বই কিনে দিব? কীভাবে খরচ চালাব? সাহায্যের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতার আবেদন করছি। সাহায্য সহোযোগিতা পেলে মেয়েটাকে ডাক্তারি পড়াতে পারব। তা না হলে আমার কোনো ক্ষমতা নেই তাকে পড়ানোর। আল্লাহ যদি রহমত করে, তাহলে আমার মেয়ে দেশের মানুষের সেবা করবে। । হত দরিদ্র রফিকুল ইসলাম মায়া তার মেয়ে ইমামা ইসলাম ইমাকে মেডিকেলে পড়ানোর জন্য তার নিজস্ব ০১৭১২-৩৩৬৯২৯ নম্বর মোবাইলে বিকাশ করে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য বিত্তবান নিকট আবেদন করেছেন।