তেলের দাম বৃদ্ধি, লাভ পরিবহন মালিকদের
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় দেশে চলছে দ্বিতীয় দিনের পরিবহন ধর্মঘট। এ কারণে রাস্তা গণপরিবহন শূণ্য থাকায় অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
পরিস্থান পরিবহনের বাসচালক মো. আকরাম হোসেন বলেন, গাড়ির জগতে কাজ করতে এসে অনেক ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে গেছি। সরকার তেলের দাম আরও বারাক, আর বাস মালিকদের আরও সুবিধা করে দিক। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।
প্রজাপতি পরিবহনের বাসচালক মো. ফিরোজ বলেন, পৃথিবীতে যদি কোনো ডিপার্টমেন্টের খারাপ থাকে তাহলে সেটা পরিবহন সেক্টর। যত ঝামেলা এই পরিবহন সেক্টরে। রাস্তায় যদি কোনো গণ্ডগোল হয়, সাধারণ মানুষ মনে করে বাস থামালে বা বাস ভাঙলেই সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে। তেলের দাম বাড়ায় বাস ধর্মঘট নিয়ে কিছুই বলার নেই আমার।
আর মো. মিজান বাংলানিউজকে বলেন, আমি বেতনভুক্ত বাসচালক। রাস্তায় বাস চললে আমার বেতন হয়। মাসে যে কয়দিন বাস চালাবো সে কয়দিনই বেতন হবে। শুনেছি রোববার বিআরটিসিতে বাস মালিক সমিতির সংশ্লিষ্টরা সিদ্ধান্ত নেবে বাস চলবে, কি চলবে না।
তিনি আরও বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর কারণে যদি বাস ভাড়া বাড়ায় তাহলে বাস চলবে। ভাড়া না বাড়লে, চলবে না। যদি তেলের দাম কমানো হয়, তাহলে আগের ভাড়ায় চলবে বাস।
রামপুরা থেকে মিরপুর এসেছেন আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ জনগণ। বাসচালকরা একহাজার টাকা বাড়তির জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে তুলবে ১০ হাজার টাকা। এতে ক্ষতি হবে আমাদের ন্যায় মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মানুষ।
তিনি আরও বলেন, আজ (শনিবার) আমি রামপুরা থেকে অনেক কষ্ট করে এসেছি মিরপুর-১২ নম্বরে। বিআরটিসির একটি বাসে এসেছি। ৩০ টাকার ভাড়া নিয়েছে ৬০ টাকা। বাস না চলায় বেড়েছে রিকশা ভাড়াও। আগে যেখানে রিকশায় যেতাম ২০ টাকায়, এখন সেখানে নিচ্ছে ৪০ টাকা। এভাবে যদি চলতে থাকে সাধারণ জনগণের কী অবস্থা হবে?
এর আগে, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ট্রাক-বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি।
সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম