চৌগাছায় হলুদ সরিষা ফুলের দোলা
শ্যামল দত্ত চৌগাছা(যশোর) থেকেঃ চারিদিকে যেন হলুদেও মাখামাখী । যতদুর চোখ যায় সুধু হলুদের রঙ। দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠেজুড়ে এখন হলুদ রঙরে খেলা । যেন হলুদের বরণে সেজেছে চৌগাছা মাঠে। সরিষার ফুলের হলুদ বরণ সৌন্দর্য প্রকিতিতে দিয়েছে এক অপরুপ রুপ।
হলুদ রঙের আভার মন ভরে ওঠার মুহুর্তটি প্রকৃতিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। আর এর দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভুলছেন না প্রকৃতি প্রেমীরা । সরিসা খেতের হলদে ফুলের সমারোহে আনন্দ-আড্ডা মেতে উঠছেন প্রকৃতিক প্রেমীরা। সেই সাথে সরিষা ফল থেকে মিষ্টি সুবাস গ্রামীণ জনপদেকে আরো মধুময় করেছে। এ সুবাস ছড়িয়ে পরেছে গ্রাম থেকে গ্রামনতরে । ভুল করেনি মৌমাছি।তারাও সরিসার থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যসত সময় পার করছে। চৌগাছা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তারের অফিসার রইচ উদ্দিন বলেন চৌগাছায় উপজেলায় এ মৌসুমে ১৫ হাজার ৫শ“৭৫ হেক্টর জমিতে সরিসার আবাদ হয়েছে ।যা থেকে ২৫ হাজার মেট্রিকটন সরিসা উৎপাদন হবে। তিনি বলেন সরিসা লাভজনক ফসল। এর তেল ও খৈল এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।এ ছারা সরিসার ফুল ও সরিসার পাতা জমির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। এখন মাঠের পরিস্থিতি যা দেখা যাচেছ তাতে ফলন ভালো হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তারের তথ্য মতে সরিসার বীজ বপনের উপযোগী সমাই অক্টোবার মাসে শেষের সপ্তাহ থেকে নবেম্ববার মাস পযনত। বপনের ৭০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সরিষার সংগ্রহ করা যায়।সরিয়া গাছের ফল হলুদ রঙের হলে ফসল তোলা হয়। এর পর থেকে ৫ দিন রোদে শুকিয়ে সরিষার বীজ সগ্রহ করতে হয়। চৌগাছা চাষী মজাফর হোসেন বলেন আমন ধান কাটার পরে বোরো আবাদেও জন্য জমি ফেলে রাখতে হয়। সেই জমিতে বাড়তি আয়ের সরিষার আবাদ করা হয়।আওয়া অনুকুল থাকলে ভালো দানাদার সরিষা পাওয়া যাবে। চাষী ফয়সাল হোসেন জানান বাজার থেকে তৈল ক্রয় করলে তাতে ভেজাল এ কারনে নিজেদের তৈল খাওয়ার জন্য সরিষা লাগিয়েছি। কৃষক কামাল হোসেন বলেন জমিতে ধান লাগালে জমির উর্বতা কমে যায় । সে কারণে সরিষা লাগালে পাতা ও ফুল জমিতে পড়ে মাঠির উর্বতা বৃদ্ধি পায়। পরে ধান চাষ করলে ধানের ফলন ভালো হয়।