চৌগাছায় লাগাতার বোমা ফাটালো এলাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা, আতংকে এলাকার মানুষ
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ
যশোরের চৌগাছায় নিজেদের অবস্থান জানান দিতে লাগাতার বোমা ফাটিয়েছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আতংক বিরাজ করছে গ্রামজুড়ে। শুক্রবার (০৩ জানুয়ারী) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, বহুল আলোচিত চৌগাছার শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার শামীমের অনুসারি জাহাঙ্গীরপুরের মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে টিটোন হোসেন (৩০), সলেমান হোসেনের দুই ছেলে আব্দুল হোসেন(৩২) ও মনি হাসান(২৮) এবং একই এলাকার মসলেম উদ্দীনের ছেলে পিন্টু (৪০)।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার মাদক ব্যবসা নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ওইদিন বিকালে হাফিজুর রহমান নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করেন সন্ত্রাসীদের অন্য একটি গ্রুপ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিংহঝুলী ইউনিয়ন শাখার যুব-বিভাগের সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা জিকো জানান, একজনকে মেরেই শুধু ক্ষান্ত হননি তারা। রাত সাড়ে আটটার দিকে জাহাঙ্গীরপুর দক্ষিনপাড়ায় লাগাতার বোমা ফাটিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করে টিটোনরা। এসময় এলাকাবাসী বোমার শব্দ শুনে থানায় ফোন দেয়।
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী আসাহানুর কবির লিটন বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে সিংহঝুলীর সাবেক চেয়ারম্যান বাদলের ছত্রছায়ায় এরাই গ্রামের ভালো মানুষগুলোর ওপর অত্যাচারসহ যাবতীয় মাদকের রমরমা ব্যবসা করেছে। এখনো তারা দেদারছে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যতটুকু শুনেছি এই মাদক ব্যবসার প্রসঙ্গ নিয়েই হাফিজুর নামের আরেক মাদক কারবারিকে মারধর করা হয়েছে। এবং শুক্রবার রাতে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাত সাড়ে আটটা থেকে প্রায় ১১টা পর্যন্ত তারা বোমা ফাটিয়েছে। তিনি আরও বলেন অভিযুক্ত এই টিটোন ও মনির কাছে দুটি শর্টগান রয়েছে। যা নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় ছবিসহ নিউজ প্রকাশ হয়েছে। অবৈধ এই অস্ত্র জব্দ এবং সন্ত্রাসীদের আটকের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও হাকিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এখনই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মুখোশ খুলে দেওয়ার উপযুক্ত সময়। তিনি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয়দের ফোন পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বোমা ফাটানোর ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানান তিনি।